কুমিল্লা নগরীর যানজট নিরসনে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, যত্রতত্র পাকিং ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। রবিবার সকালে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে নগরীর যানজটসহ নানা সমস্যা সমাধানে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়। সভায় সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সংসদ বীরমুক্তিযুদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
সভার কার্যবিবরণী নিয়ে বিকেলে সাংবাদিক সাথে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি ও পহেলা ফেব্রুয়ারি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ে মাইকিং করা হবে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্ছেদ অভিযান। সকল শপিং কমপ্লেক্স ও মার্কেটের নিচতলায় পার্কিং থাকতে হবে। অন্যথায় নিচ তলার মালামাল জব্দ করে পার্কিং এর জন্য উন্মুক্ত করা হবে। কোনো সংগঠন বা সংস্থার পক্ষ কোনো প্রকার গেইট বা তোরণ করা যাবে না।
এ সময় সাংবাদিকদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যমান সকল গেইট ও তোরণ উচ্ছেদ করা হবে। নগরীর সড়কে জিবির নামে চালকদের থেকে অর্থআদায়ের অভিযোগ বহু বছরের এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, যদি কাউকে অবৈধ চাঁদা উত্তোলনে পাওয়া যায়, তাহলে চাঁদাবাজির মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে যেই হোক, এ বিষয়ে কাউকে ছাড় নয়। বড় বাসগুলো কান্দিরপাড় প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়া রাজগঞ্জ মোড় থেকে কান্দিরপাড় মোড় পর্যন্ত একমুখী গাড়ি চলবে। পুলিশ লাইন-ঝাউতলা বাদুরতলা, কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ থেকে চকবাজার রোডে বা রোডের দুইপাশে ফুটপাথের সকল অবৈধ দোকান, যানবাহন, স্থাপনা ও অন্যান্য সামগ্রী উচ্ছেদ করা হবে।
কান্দিরপাড় বা কাছাকাছি এলাকায় শৌচাগার নির্মাণ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নোট রাখা রাখা হয়েছে। পূর্বেও আলোচনা হয়েছে। যদি স্থান নির্বাচন করা যায়। গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে। নগরীর জনদুর্ভোগ নিয়ে প্রবীন সাংবাদিক ও সংগঠক আবুল হাসানাত বাবুল বলেন, যারা সমস্যা সমাধানের কথা তারা সমস্যা ভোগ করেন না। তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন। ফলে গণমানুষের ভাষা তারা বুঝেন না। প্রতিবার শহরের সমস্যা সমাধানে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তা যদি অর্ধেকও বাস্তবায়নের আলো দেখতো এবং মানুষের মুক্তি মিলতো।