কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের জন্তিপুর গ্রামের ১৮ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় কানাইঘাট থানা পুলিশ ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষণের শিকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মেয়েটিকে আজ শুক্রবার ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
শারীরিক প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান গত বৃহস্পতিবার বিকাল ২ টার দিকে একটি বাড়ি থেকে টিউশনি করে বাড়ি ফেরার পথে জন্তিপুর গ্রামের মৃত মুরাকিব আলীর পুত্র রাস্তার পাশে অবস্থিত রিয়াজ উদ্দিন তার বসত বাড়িতে ডেকে নেয় তাকে।এসময় রিয়াজ উদ্দিনসহ জন্তীপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের পুত্র সুহেল আহমদ (২৫) ও রাধানগর গ্রামের ইয়ারীছ আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ (২০) ও সিদ্দিক আলীর পুত্র গিয়াস আহমদ (২৭), জন্তিপুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের বাড়িতের বসবাসরত তার ভাগ্না সুহেল উদ্দিন বসত ঘরে প্রবেশ করে শারীরিক প্রতিবন্ধি মেয়েটিকে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি তার পরিবারের লোকজন দের নিয়ে থানায় এসে এমন অভিযোগ আনলে থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর নির্দেশে পুলিশ রাতেই এলাকায় অভিযা চালিয়ে সুহেল আহমদ ও ফয়ছল আহমদকে গ্রেফতার করে। ধর্ষনের ঘটনায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি র্ধষণ মামলা দায়ের করেছেন। থানার মামলা নং ১৭,তাং১৬/০৭/২১ ইং।
ভিকটিমের কয়েকজন স্বজন জানিয়েছেন, রিয়াজ উদ্দিন মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে অনেক দিন থেকে প্রেম করে আসছিল। বৃহস্পতিবার ২ টার দিকে টিউশনি করে বাড়িতে ফেরার সময় রিয়াজ উদ্দিন মেয়েটিকে তার বসত বাড়িতে ডেকে নেওয়ার পর এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে মুল হোতা রিয়াজ উদ্দিন পলাতক রয়েছে। থানার ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, র্ধষণের শিকার মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও ভিকটিমকে সিওমেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাটানো হয়েছে। থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন মেয়েটির দরিদ্র পিতা। তদন্তপূর্বক যারা ধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত তাদের কেও আটক করা হবে।