ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইমপুরে পুর্ব শত্রুতার জেরে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারধরের অভিযোগ করেছে আহতের পরিবার ।
স্থানীয়রা জানায় উপজেলার কয়েমপুর পশ্চিম পাড়া মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল মোতালেব (৫৫) গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজে যাওয়ার পথে পথরোদ্ধ করে গালাগালি করে হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ৩/৪ জন মিলে তাকে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারদরি করে। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
আহত সেনা সদস্য জানায় শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত’রা বাড়িতে এসে তাকে শাসিয়ে যায়। আমি অভিযুক্ত খাজা আহাম্মদের থেকে ২০০৬ সালে একটি জমি ক্রয় করি। এবং জমি আমার নামে রেজিষ্ট্রি করি এবং জমি আমার দখলে আছে প্রায় ১৬ বছর। কিন্তু খাজা আহমেদ জোর পূর্বক এই জমির দখল নিতে চান।
হামলার ঘটনায় মৃত আব্দুল গফুরের বড় ছেলে খাজা আহাম্মদ (৪০), ছোট ছেলে নাজির আহাম্মদ (৩৫) এবং খাজা আহাম্মদের ছেলে রাতুল মিয়া (১৯) কে আসামি করে কসবা থানায় আহত আব্দুল মোতালেবকে বাদী করে মামলা দায়ের করেছে তাহার পরিবার।
আহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের স্ত্রী জানায় আমার স্বামী মসজিদে যাওয়ার পথে রড লাঠি দিয়ে মারদরে এক পর্যায়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্বাসরোদ্ধ করে। স্থানিয়রা বিষয়’টি দেখে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে। পরে আমি স্থানীয়দের সহযোগীতায় কসবা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছি। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
বর্তমানে হামলাকারীদের ভয়ে আব্দুল মোতালেব ও তার পরিবারের লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে আবার যেকোন সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় শিকার আমরা।
অভিযুক্ত খাজা আহাম্মদ মারদরের বিষয়টি অস্বিকার করে সাংবাদিক’দের জানান তাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। কিন্তু আমরা তাকে মারদর করিনি। জুম্মার নামাজে যাওয়ার পথে সুধু কথা কাটা কাটি হয়েছিল।
এ ব্যাপারে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।