কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে উপজেলা ব্যাপি প্রোল্ট্রি খামার ব্যবসায় ব্যপক ধস নেমেছে।এক দিকে খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় বিভিন্ন কোম্পানির ৫০ টাকা থেকে ৬২ টাকা। অপরদিকে করোনা কালীন সময়ে পাইকারী বাজারে মুরগীর দাম কম হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে উৎপাদনমুখী খামারিদের।
খাদ্যে পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মুরগীর বিকল্প নেই।অল্প দামে মুরগীর মাংস কিনতে পারায় সর্বস্তরের মধ্যে বয়লার মুরগীর চাহিদা রয়েছে ব্যপক হারে।পাশাপাশি সোনালী ও ডিম উৎপাদন মুরগীর চাহিদারও কমতি নেই।
এই উপজেলায় প্রায় ছোট বড় প্রায় ৩০০ টি প্রোল্ট্রি খামার রয়েছে। যার ফলে প্রতি মাসে প্রায় ৬০০ মেট্রিকটনের বেশি মুরগীর মাংস উৎপাদন হয়ে থকে। যা স্থানীয় বাজারে চাহিদা মেটানোর পর শহরে রপ্তানি করা হয়। লোকসান হবার কারণে প্রায় অর্ধেকের বেশী খামার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে খামারিরা।করোনার কারণে পর পর লোকসান গুনতে হচ্ছে খমারিদের। কিন্তু সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে বেশীরভাগ খামারি।
মেসার্স পানকরা মৎস্য এন্ড পোল্ট্রি খামারের মালিক আজিম ভূইয়া বলেন, আমরা যারা এই শিল্পের সাথে জড়িত বর্তমানে তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। তাই এই শিল্পকে বাচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ একান্ত কাম্য।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এবং ভেটেনারী চিকিৎসক ডাঃ মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের হিসেব মতে ১৪৩ টি প্রোল্ট্রি খামার রয়েছে। উপজেলাব্যপি আমরা প্রথম ধাপে ১১৪৯ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৫৫৫ জনের চাহিদা পাঠিয়েছি। তার মধ্যে প্রায় খমারী প্রনোদনা পেয়েছেন। বাকিদের কাগজ পত্র ঝামেলার কারনে স্থগিত রয়েছে।