চাঁদপুরের কচুয়া এখন শুকনো বীজতলা পদ্ধতিতে আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এ উপজেলায় এই চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই পদ্ধতিতে মাটি প্রস্তুত করে পর্যাপ্ত জৈবসার দিয়ে অঙ্কুরোদমকৃত বীজ মাটিতে ছিটানো, স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢাঁকা, নেই সেচ এবং সারের ব্যবহার ও চারা তোলাও খুব সহজ। কৃষক পর্যায়ে এই পদ্ধতিতে বসতবাড়িতেও কৃষক চারা উৎপাদন করতে পারে। ফলে কৃষক পর্যায়ে এই শুকনো বীজতলা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অন্যদিকে সনাতন পদ্ধতির বীজতলার চারা উঠাতে গেলে গুচ্ছ শিকড় ছিড়ে যায় ফলে রোপনের পর গুচ্ছ শিকড় গজাতে অনেক সময় লাগে। তাই বর্তমানে এ উপজেলায় কৃষি কাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ পদ্ধতি।
উপজেলার পাড়াগাঁও ও আকিয়ারা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন,আরিফুল ইসলাম বলেন, আগে আমরা পানি সেচ দিয়ে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করতাম। কিন্তু চলতি বছর থেকে শুকনো বীজতলায় চারা উৎপাদন করছি। এতে বীজ ও চারা উভয়ই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। বাড়তি কোনো সেচও দিতে হয় না বলে খরচ অনেকাংশে কম লাগে।
উজানী ও আলীয়ারা গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কবির ও কৃষানী সালেহা বেগম জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে সনাতন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করায় বোরো বীজ অঙ্কুরোদগমের হার কম হচ্ছে, চারাও ভালো হচ্ছে না। স্বল্প সময়ে ধানের সুস্থ ও সবল চারা উৎপাদনে এবং কুয়াশার কবল থেকে বাঁচাতে ভেজা (সেচ দেওয়া) বীজতলার চেয়ে শুকনো বীজতলা বেশি উপযোগী। এতে ফলন ভালো পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, কচুয়া উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে শুকনো বীজতলা করা হয়েছে। কৃষক পর্যায়ে দ্রুত জনপ্রিয় পাচ্ছে এই প্রযুক্তি। অল্প সময়ে রোগবালাই মুক্ত চারা উৎপাদন করে কৃষকরা খুবই খুশি। স্বল্প খরচে এ বীজতলা তৈরি ও চারা তোলাও খুব সহজ। কৃষক পর্যায়ে এই পদ্ধতিতে বসতবাড়িতেও কৃষক চারা উৎপাদন করা সম্ভব। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।