রূপগঞ্জের খালে বিলে কচুরিপানায় ঢাকা পড়েছে। বিলের কোথাও এখন আর পানি চোখে পড়ছে না। যতদূর চোখ যায় শুধুই কচুরিপানা। এক কথায় গোটা বিল এখন কচুরিপানায় ঢাকা। এর ফলে দূষিত হচ্ছে পানি। মারা যাচ্ছে বিলের মাছ। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, এই বিলে বর্ষা মৌসুমে আশ-পাশের এলাকার শত শত পর্যটক নৌ-ভ্রমণ করতে আসেন। তাছাড়া বিলটিতে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমাণে মাছ উৎপাদন হয়।
দুর থেকে দেখলে যে কারো মনে হবে মাঠে কৃষকের ফসল দোল খাচ্ছে। সবুজ আর সবুজ। যেন দিগন্তজোড়া সবুজের মাঠ। কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরাই ভিন্ন। কচুরিপানায় ছেয়ে আছে গোটা নগরপাড়ার বিল। এখন বীজতলা তেরির সময়। কিছু বিলে চারা রোপনও করতে পারত। চর্তুদিকে বালি দিয়ে ভরাটের কারণে পানিও সরছে না। কচুরিপানাও নড়ছে না। এ নিয়ে কৃষক পড়েছে মহা বিপদে। সময় দিনকে দিন চলে যাচ্ছে বীজতলা তৈরি করতে না পারলে সময় মত ফসল ফলানোই দায় হবে।
সেই সঙ্গে প্রত্যেক বছর সরকারিভাবেও বিলে প্রচুর পরিমাণে পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ বিলের খামারপাড়া, নগরপাড়া, নয়ামাটি, দেইলপাড়া, পশ্চিমগাওসহ ১০/১৫টি পয়েন্টে ব্যাপকভাবে কচুরিপানা বেড়ে উঠেছে। কচুরিপানার কারণে বিলে মৎস্যজীবীদের নৌকা চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া অত্যাধিক কচুরিপানার কারণে পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। এতে মাঝে-মধ্যেই বিলে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে বলে স্থানীয় মৎ্স্যজীবীরা জানিয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর জানান, অতিরিক্ত কচুরিপানা একটা ঝামেলাই। উটকো ঝামেলাকে সম্পদ বানাতে হবে। আমাদের ফিল্ড অফিসাররা বরাবরের মত এ বিপদেও কৃষকের পাশে মাঠে রয়েছে। সার্বক্ষনিক কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছেন। জমাটবদ্ধ এ কচুরিপানাকে জৈব সারে পরিনত করতে পারলে ফসলের অনেক উপকতার হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের মাঠকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।