করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে আখাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী।সোমবার(৯আগষ্ট) দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের সোলাইমান মিয়ার মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমানা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।এসময় কনে পক্ষকে বাল্য বিয়ে আয়োজন করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। কনে নূরপুর-রুটি আব্দুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সোলাইমান মিয়ার মেয়ে সুরমা আক্তারের সাথে মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের খারকোট গ্রামের শানু মিয়ার প্রবাসী ছেলে শাহীন মিয়ার বিয়ের আয়োজন করা হয়।এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুমানা আক্তার।পরে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্করের উপস্থিতিতে কনের জন্মনিবন্ধন যাচাই করে বয়স না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন।কনের সঠিক বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দেন তাদের অভিভাবকরা।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, লকডাউনের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল খবর পেয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সত্যতা পাই। বর পক্ষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। বিয়ে হওয়া বাকী ছিল। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে কনে পক্ষকে বুঝিয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে হবেনা এই মর্মে তারা মুচলেকা দেয়।পরে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।