কামরাঙ্গীরচরে শশুর বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ গেল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আব্দুল মতিন এবং উনার স্ত্রী আয়শা আক্তার ময়নার। তারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আব্দুল মতিন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। তাদের দুই মেয়ে মাইশা আক্তার ও আয়শা আক্তার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।
তাদের পরিবারের একমাত্র ছেলে হাফেজ ওয়ালিদ মাদ্রাসায় ছিল বলে অক্ষত আছে। এছাড়া পরিবারের সবাই ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় অটোবাইকের চার্জার মেশিন বিস্ফোরিত হয়ে, ঢাকার কামরাঙ্গীরচর আব্দুল মতিনের শ্বশুর বাড়িতে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম চলছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে বিপর্যস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে স্বজনেরা সমাজের বিত্তমানদের কাছে আর্থিক সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আব্দুল মতিনের স্বজন ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটায় দুইটি অটোবাইক চার্জারের মেশিন চার্জরত অবস্থায় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর স্থানীয় ও আব্দুল মতিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আব্দুল মতিন, তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ময়না, মেয়ে মাইশা ও আয়শাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ময়না, পরে আব্দুল মতিন মারা যায়। চিকিৎসাধীন দুই মেয়ে আয়শা ও মাইশার অবস্থাও আশংকাজনক।