আজ রবিবার ভোর ৪টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন সন্ত্রাসী আমার রঘুনাথপুর এলাকার বাড়িতে একের পর এক ককটেল নিক্ষেপ করে।বাড়ির লোকজন বোমার শব্দ পেয়ে ছুটে গেলে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়।পরে পুলিশ এসে অবিস্ফোরিত কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করেছে।ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা পাবনা বেড়া উপজেলা পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম রফিকউল্লাহ।
তিনি আরও বলেন,পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি আজিজুল হক আরজু নগরবাড়ী ঘাটে সরকারি ৮ একর জমি দখল করে অবৈধ মার্কেট নির্মাণ করেছেন।আমি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ায় সাবেক এমপি আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন।গত শুক্রবার একটি দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে আমাকে অকথ্য গালাগাল করে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন।আমার ধারণা সাবেক এমপির নির্দেশে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।
তবে হামলার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন সাবেক এমপি আজিজুল।তিনি বলেন,ধারাবাহিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।আমি রাজনৈতিকভাবেই সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করব।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে কাশীনাথপুর ফুলবাগানে সকাল নয়টা থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন চেয়ারম্যান রফিকউল্লাহর সমর্থকেরা।এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।তারা অবিলম্বে সাবেক এমপি আজিজুল হক আরজুর গ্রেফতার দাবি করেন।পরেস্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা ১১টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন বিক্ষুব্ধরা।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানিয়েছেন,হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।