জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার এস আই গোলাম মোস্তফা সি আর মোকাদ্দমা নং ১৫৯(১)২১ মামলাটি ঘটনাস্থল তদন্ত না করেই বাদী শহিদ ও জগলুর উৎকোচ এর মাধ্যমে গত ০৩-০৫-২০২১ইং সকাল ১০টায় ২৬০মন ভুট্রা চুরির মিথ্যা মামলার প্রতিবেদন দিয়ে আবজাল ফকির ও জহুরুল ইসলাম গংকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।মামলাটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্য প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দাবী করেছেন গ্রামের সচেতন মহল।
আরো জানা যায়,সরিষাবাড়ী থানার এস আই গোলাম মোস্তফা এই মামলাটির সত্য প্রতিবেদন আদালতে দিবে বলে আসামীদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে।সেই টাকা না দেওয়ার কারণে এস আই গোলাম মোস্তফা গত ৩০-০৬-২১ইং তারিখে আদালতে ৩০৭/৩৭৯ ধারার অপরাধে মিথ্যা প্রতিবেদন দেয় বলে জানা যায়।
এলাকা সূত্রে জানা যায়,উপজেলার ১নং সাতপোয়া ইউনিয়নের চর জামিরা গ্রামের শহিদ ও জগলু দাঙ্গাবাজ,লাঠিয়াল,সন্ডা, গুন্ডা,পরধন,লোভী ও মিথ্যা মামলাবাজ প্রকৃতির লোক।গত ১বছরের সরিষাবাড়ী থানা এবং কাজীপুর থানাতে প্রায় ৫/৭টি মামলা করেও সত্যতা প্রমান করতে পারে নাই।আবারও ০৩/০৫/২১ইং তারিখে আদালতে আর একটি মিথ্যা চুরির মামলা আবজাল ফকির ও জহুরুল ইসলামসহ ১৬জনকে আসামী করে,যার সি,আর মোঃ নং–১৫৯(১)২১।
মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট,কাল্পনিক,ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বলে দাবী করেছেন গ্রামের সচেতন মহল।এ ব্যাপারে আবজাল ফকির বলেন,সরিষাবাড়ী উপজেলার চর জামিরা দিগলকান্দি মোজার সি এস খতিয়ান নং ৪৯ সি এস দাগ নং ৫০ জমির পরিমান ১.৪৮ শতাংশ ক্রয় করে।আমরা দীর্ঘ দিন ধরে জমিতে ধান পাট ভূট্টা চাষবাদ করে আসছি।
ক্রয় সূত্রে মালিক জিন্দার আলী বলেন,অনেক বছর ধরে চর জামিরা দিগলকান্দি মোজা ধান পাট মরিচ গম ভূট্টা চাষবাদ করে খাই যার সি এস খতিয়ান নং ৮১ সি এস দাগ নং ৫১ জমির পরিমান ১.০৩ শতাংশ।মামলার সাক্ষীগনদের মধ্যে জুরান আলী,আব্দুল আজিজ,সাইদুর রহমান,চান মিয়া,মোজাম বলেন,সরিষাবাড়ী থানার এস আই গোলাম মোস্তফা আমাকে কোন দিন এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন নাই।
তবে আবজাল ফকির জহুরুল ইসলাম গং এরা নিজেদের জমিতে নিজেরাই ভূট্টা চাষ করে এবং পাকা ভূট্টা কাটিয়া তুলিয়া নিয়ে গেয়েছে।আমাদের গ্রামে ভূট্টা চুরির ঘটনা কখন গড়েনি এ মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট,কাল্পনিক,ভিত্তিহীন।