লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সরকারী রাস্তার গাছ কাটার যেন মহাৎসব শুরু হয়েছে।বিভিন্ন অযুহাতে অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে এসব গাছ।উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পর এবার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামেও রাতের আধারে কাটা হচ্ছে এসব গাছ।রাস্তার সরকারী গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেকেই রাস্তার গাছ কাটার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
জানা গেছে,উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের হাজীর মোড় এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে দুটি বিশাল আকারের ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিয়ে যায় একটি সিন্ডিকেট।তার দুদিন আগে ওই গ্রামের তিস্তা মোড় এলাকায় আরও দুটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিয়ে যায় ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা।বিষয়টি স্থানীয় লোকজন মৌখিকভাবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেনকে অভিযোগ করলেও তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি।
এ বিষয়ে সিঙ্গিমারী ফেডারেশন চেয়ারম্যান তবিবর রহমান জানান,ওই গাছ দুটি শেখ রাসেল ক্লাব নামে স্থানীয় একটি ক্লাবকে দান করেছি।তাদেরকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে গাছ কাটতে বলেছিলাম।আর এর আগে তিস্তা মোড়ের দক্ষিনের গাছ একটা মাদ্রাসায় দান করেছি।শেখ রাসেল ক্লাবের সভাপতি এরশাদ আলী জানান,ফেডারেশনের সদস্য তৈয়ব আলী ও আবেদ আলী সাথে কথা হয়েছিল।তারাই গাছ কেটে আমার ক্লাবে দিতে চেয়েছিনেল।
ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন,গাছ কাটার বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানি না।খবর পাওয়ার পর গাছ উদ্ধার করে আমার জিম্মায় নিয়ে রেখেছি।সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান,গাছ কাটার বিষয়ে কেউ আমার সাথে কথা বলেনি।এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না,ফেডারেশনের লোকজন ভাল বলতে পারবে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানান,এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।