ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলের কৃষি জমিতে আমনের বীজ রূপনে ব্যস্ত সময় পার করছে।এখন আমন ক্ষেতে সরাইলের কৃষকের সবুজের মাঝে কৃষকের হাসি।সরাইল উপজেলার কৃষকেরা আমন ক্ষেত পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত।তবে মৌসুমের শুরুর দিকে পানির অভাবে কৃষকেরা চারা রোপন করতে পারছিলেন না বলে অনেক কৃষক বলেন,তবে এ অবস্থায় সম্প্রতি বেশ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে আমনের ক্ষেতে পানি জমেছে।
বিশেষ করে উঁচু জমিতে পানি জমায় চাষিদের মনে স্বস্তি এসেছে।শুকিয়ে যাওয়া আমন ক্ষেতের চারা সতেজ হয়ে মাঠের পর মাঠ এখন সবুজের সমারোহ।যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজের মিলনমেলা।আমনের মাঠ যেন সবুজে ঢাকা প্রকৃতি।চারদিকের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য কৃষকের মনে দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ।ফুটেছে কৃষকের মুখে হাসি।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,কয়েকদিন ধরে ভারি মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও খুব বেশি প্রতিকূলে না গেলে এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।সরাইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,সরাইল উপজেলায় এ বছর প্রায় ৬ হাজার ৬ শত ৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭ হাজার ৬শত ২৯মেট্রিক টন।পানি নিয়ে কৃষকেরা কিছুদিন দুশ্চিন্তায় থাকলেও এখন পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় সে চিন্তা অনেকটা কেটে গেছে।সরাইল উপজেলার সদর,কালিকচ্ছ,শাহবাজপুর ও নোয়াগাঁও,চুন্টাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা আমন রোপন শেষ করে আমনের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
দীর্ঘদিন পানির অভাব থাকলেও বর্ষার পানিতে তারা নতুন করে আমনে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আজি মিয়া জানান,প্রত্যেক বছরের মত এ বছর তিনি ৫ কানি জমিতে আমন চারা লাগিয়েছেন।কিন্তু দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি।
কয়েক দিনের টানা বৃদ্ধির ফলে তার উঁচু জমিগুলোতেও পানি লাগায় তিনি এখন আমনের ফলন নিয়ে অনেক খুশি ও দুশ্চিন্তামুক্ত।কৃষক শামসুল আলী বলেন,তিনি এ বছর জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন।কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তার আমনের ক্ষেতেও পর্যাপ্ত পানি জমেছে।চারা গাছ এখন বেশ সতেজ হয়ে উঠছে।
সবুজের মাঠ এখন দেখতে ভাল লাগে পরিচর্যা করছে সময় মতো।সরাইল উপজেলা নবাগত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রায়হান পারভেজ রনি বলেন,সরাইল উপজেলা প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়।প্রত্যেক বছর আমন মৌসুমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়।এ বছরও দেয়া হচ্ছে।সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।