কোনো পোকা দমনে নয়,সদ্য রোপন করা ধানের জমিতে ফসলী জমি নষ্ট করা বিষাক্ত বিষ প্রয়োগ করে নেয়া হয়েছে প্রতিশোধ।গত ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময়ে এমনতর জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চন্ডীপুর এলাকায়।এ ঘটনায় জমির মালিক আবুল কাশেম ভূঁইয়া বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ক্ষেতের মালিক মালাপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চন্ডীপুর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, তিনি একজন কৃষক।কৃষি কাজের মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।চলতি মৌসুমেও তিনি তার জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন।তার এই আবাদকৃত জমির ১ একর ৩৩ শতাংশ সদ্য রোপন করা ধানের জমি ও ৬ শতাংশ ধানের চাড়া গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করে ফেলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,আবাদকৃত জমি ও ধানের চাড়ার জমির প্রায় অংশে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করায় সদ্য রোপন করা সমস্ত ধান ও ধানের চাড়া পুড়ে গেছে।এসময় জমির মালিক মোঃ আবুল কাশেম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন,তারা আমার পরিবারের রিজিক নষ্ট করে আমাকে পথে বসিয়েছে।আমি এর বিচার চাই।এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার বলেন,জমির মালিক একজন হতদরিদ্র কৃষক।ধারদেনা করে এই জমিগুলো আবাদ করেছিলেন।এরকম ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই।এদিকে ঘটানা শুনে মালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আজাদ ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এসময় তিনি এরকম নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ ব্যপারে তিনি দৈনিক কালজয়ী প্রতিনিধিকে বলেন,রাতের আধারে কে কারা ফসলী জমি বিনষ্ট করার কীটনাশক প্রয়োগ করে এই কৃষকের জমিতে রোপণ করা রোপা আমন ধান ও ধানের চাড়া নষ্ট করেছে।