সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়া রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড় থেকে নোয়াগাঁও-আলমপুর-বালিশ্রী-রৌয়াইল গ্রামের একমাত্র গ্রামীণ সড়কের একাংশে নদী ভাঙন রোধে কাজ করছেন গ্রামবাসী।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে গত বছর থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে আলমপুর-ভালিশ্রী-রৌয়াইল অংশের ৩ কিলোমিটার রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে সিলেটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমআই ইঞ্জিনিয়ার।
সম্প্রতি ওই সড়কে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।এ অবস্থায়ই বালিশ্রী গ্রামের গুলজার মিয়ার বাড়ির সামনে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে পড়েছে সড়কটি।ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানায় এলজিইডি।কিন্তু কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সড়কটির কাজ শেষ হওয়ার আগেই নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।ফলে গত মঙ্গলবার থেকে বালিশ্রী ও রৌয়াইল গ্রামবাসীর যৌথ উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
১৫টি গ্রামের একমাত্র গ্রামীণ সড়কটি নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে লন্ডন প্রবাসী গোলজার মিয়ার ব্যাক্তিগত ২০ হাজার টাকা সহ বালিশ্রী ও রৌয়াইল গ্রামবাসীর অর্থয়ানে মাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা চলছে।বালিশ্রী গ্রামের আলতাউর রহমান,ছালিক মিয়া নাইর,সুমন হোসাইন জানান,এই এলাকার মসজিদ,ফসলি জমি,বাড়ি-ঘর কিছুই আর বাকী থাকছে না।নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে অনেকেই এখন নিঃস্ব।যা যাওয়ার তা তো চলেই গেছে।এখন চলাচলের একমাত্র সড়কটি ধরে রাখতেই হবে।
রৌয়াইল গ্রামের মাহবুব হোসেন মিটু,আল আমিনসহ অনেকেই জানান,নদী ভাঙন রোধে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদসহ কারো কোনো সহযোগিতা পাইনি।শেষ মেষ আমাদের সড়ক আমাদেরকেই রক্ষা করতে হচ্ছে।গতকাল শনিবার পর্যন্ত মাটি ভর্তি ১১০০ বস্তা দেওয়া হয়েছে।বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।জগন্নাথপুর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন,আমরা ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।আমাদের প্রক্রিয়া চলমান আছে।