গত কয়েক বছর ধরে পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকরা পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে এই অবস্থার একটু পরিবর্তন হয়েছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এর ফলে গত বছরের তুলনায় হেক্টর প্রতি পাটের ফলন বৃদ্ধিসহ দাম পেয়ে খুশি এ উপজেলার কৃষকরা। দেখে মনে হচ্ছে দেশে সোনালী আঁশ পাটে সুদিন ফিরতে শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সুত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার ১৪০ হেক্টর জমিতে দেশী ও তোষা জাতের পাটের চাষ করেছে কৃষকরা। হেক্টর প্রতি পাটের গড় ফলন নিধার্রন করা হয়েছে ১০.৯ বেল। আর ১৪০ হেক্টর জমি থেকে পাটের উৎপাদন নির্ধারন করা হয়েছ ১৫ শ ২৬ বেল। যা গত বছর হেক্টর প্রতি পাটের গড় ফলন ছিল ১০.৬বেল ও ১২৫ হেক্টর জমিতে পাটের উৎপাদন ছিল ১৩ শ ২৫ বেল। বর্তমান সময়ে পাট কাটা, পানিতে জাগ দেয়া, আশঁ ছাড়ানো ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনেকে পাট শুকিয়ে বাজারে বিক্রিও করছেন।
উপজেলার কুলানন্দপুর গ্রামের পাট চাষী সেকেন্দার আলী বলেন, গত বছর প্রতি মন পাট বিক্রি করেছি ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ টাক পর্যন্ত। এ বছর প্রতি মন পাট বিক্রি করছি ৩,০০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাছ হোসেন সরকার জানান, এবার পাটের উৎপাদন ভালো হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পাটের ভালো দাম পাচ্ছেন। আশা করছি আগামী বছরে পাটের আরো ফলন বাড়বে। পাট সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।