মাদক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নওগাঁ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মন্টুকে তার পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।একই সাথে সংস্থার আজীবন সাধারণ সদস্য পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।এ সময় তার স্থলাভিসিক্ত করা হয়েছে সংগঠনের সাধারণ সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সারোয়ার তানজিদ সম্রাট।
বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মাদকসহ নানা অনিয়ম-দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উত্থাপন করে শনিবার দুপুরে শহরের উকিলপাড়া মহল্লায় সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নওগাঁ ইউনিটের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম ফজলে রাব্বী এই ঘোষনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,গত ২৬ জুলাই শহরের কাঁচা বাজারের ক্রিসেন্ট মাকের্টের দোতালার একটি অফিস ঘর থেকে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করে র্যাব-৫।এই ঘটনায় র্যাব-৫ নওগাঁ পৌর সভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নওগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক একেএম নাজমুল হক মন্টুকে আসামী করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মন্টু মাদক মামলায় নাম থাকায় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।এই ঘটনায় ২৮জুলাই তাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় এবং বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়।পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে নাজমুল হক মন্টুকে স্থায়ীভাবে সাধারণ সম্পাদক পদ হতে বহিস্কারসহ তার আজীবন সদস্য পদ বাতিল করে কেন্দ্রকে অবগত করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একইসাথে ইউনিটের সাধারণ সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সারোয়ার তানজিদ সম্রাটকে সাময়িক ভাবে সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব দেয়া হয়।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মাহফিজুর রহমান (বাবু), কার্যনিবাহী সদস্য সারোয়ার তানজিদ সম্রাট,সদস্য প্রতাপ চন্দ্র সরকার,দেওয়ান আলি আকবর,জাহাঙ্গীর আলম,এ্যাডভোকেট সরদার সালাহউদ্দীন মিন্টু,নারগিস বেগমসহ অন্যান্য সদস্যগণ।
এদিকে নওগাঁ পৌরসভার ০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বহিস্কৃত রেড ক্রিসেন্ট এর সাধারন সম্পাদক একে এম নাজমুল হক মন্টু বলেন যে ঘর থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে,সেই ঘর আমার নয়।২০১৮ সালে হজ্ব করে আসার পর থেকে আমি ওই অফিস ঘরে আর বসি না।পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।কারন মামলার এজাহারে উল্লেখিত নাম নিয়ে বিভ্রান্তি আছে।