সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক সময় কাক-পক্ষিও আসতোনা। কোভিডকালীন সময়ে চিকিৎসার সেবার দিক থেকে এ হাসপাতাল একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালকে শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোভিড আক্রান্ত মুমুর্ষ রোগীদের মানসম্মত সেবার মান নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি এস.আলম, টি.কে গ্রুপ ও বিএসআরএমসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছেন।
এ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদির সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। গতকাল ২৯ আগস্ট রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জেনারেল হাসপাতালের জন্য নতুন ৮ বেডের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) উদ্বোধন ও ৬টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোগে ও বিএসআরএম’র আর্থিক সহায়তায় এসব এইচডিইউ নতুন মেডিকেল বেড স্থাপন করা হয়।
পরে হাসপাতালের তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ দেশের বাইরে থাকেন। তাই প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে চট্টগ্রামে টিকার পরিমাণ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অবকাঠামোই শুধু হাসপাতাল নয়, মূল বিষয় হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। সরকার হাসপাতালের উন্নয়নে কাজ করছে। জেনারেল হাসপাতালকে যেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিণত করতে পারি সেই চেষ্টা চলছে। আশা করছি তা করতে পারবো।
নওফেল বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ফলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে আমুল পরিবর্তন এসেছে। ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছি।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে এবং মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এইচডিইউ বেড স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের সিইও ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, বিএসআরএম’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত ও জেনারেল হাসপাতাল আইসিইউ ইউনিটের কনসালট্যান্ট ডা. মৌমিতা দাশ প্রমূখ।
জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ, নতুন ৮টিসহ ১০টি এইচডিইউ ও ১৭৪টি আইসোলেশন বেড রয়েছে।