কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বেজোড়া গ্রামে গতকাল ২৯ আগস্ট রবিবার সকালে যৌতুক না পেয়ে তাহমিনা বেগম উর্মি (২০) নামের এক গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ উঠে এসেছে। গৃহবধূ তাহমিনা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বেজোড়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে (তাহমিনার স্বামী) জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ২ লক্ষ টাকা এনে দিতে বললে। তার স্ত্রী তাহমিনা যৌতুক এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
এসময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাহমিনার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম খুব্ধ হয়ে তাহমিনার ওপর হামলা চালায়। এসময় জাহাঙ্গীর আলমের মা রেজিয়া বেগম ও তাদের সহযোগী মোঃ আলম মিয়াও তাহমিনার উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হামলায় তাহমিনা বেগম উর্মি গুরুতর আহত হয়।
পরে আহতের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। এলাকাবাসী ও মোবাইল ফোনে খবর পাওয়া তাহমিনার মা উপস্থিত হয়ে আহত তাহমিনাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আহত তাহমিনা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যপারে আহত তাহমিনা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে আহত গৃহবধূ তাহমিনা বেগম উর্মি জানায়, তাদের বৈবাহিক জীবনের চার বছর পার হয়েছে। তাদের তিন ও দুই বছর বয়েসী দুটো ছেলে রয়েছে। তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বিয়ের ১ বছর পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে যৌতুকের টাকা পাওয়ার জন্য তার স্ত্রী তাহমিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে।
তাহমিনা বেগম সন্তানদের দিকে তাকিয়ে সব অত্যাচার মুখ বুঁজে সহ্য করে যাচ্ছিলেন। ঘটনার দিন তার স্বামী, শাশুড়ী ও তাদের সহযোগির হামলায় কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে যান তাহমিনা।
এব্যাপারে আহত তাহমিনার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী আমি মেরেছি। স্ত্রী’কে মারলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। আমার স্ত্রী’কে আমার মারার অধিকার রয়েছে।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।