বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে এ উপজেলার মানচিত্র।প্রতিদিন সন্ধ্যার বুকে বিলিন হয়ে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী অসহায় মানুষের ভিটেমাটি।ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও নদী সংলগ্ন দুই স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যাক্তিদের দৃষ্টি আকর্শনের জন্য মানববন্ধন করেছে।
২৪ আগষ্ট সকালে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের বিহারীলাল একাডেমী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেন।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম,বিহারীলাল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাবুবুর রহমান,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।
উল্লেখ্য,ইতিমধ্যে উপজেলার ব্রাক্ষ্মনকাঠি,দান্ডোয়াট,ধানহাটখোলা,শিয়ালকাঠী,বাংলাবাজার,নলেশ্রী,মসজিদবাড়ী,দাসেরহাট, কালিরবাজার,চাউলাকাঠি,বাসার,গোয়াইলবাড়ি গ্রামের বহু বসত বাড়ি-ঘর,ফসলি জমি,মসজিদ,মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।ভয়াল সন্ধ্যার ভাঙনে বহু পরিবার তাদের শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এখন নিঃস্ব।
কারন হিসেবে দেখা যাচ্ছে সন্ধ্যা নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার ভাঙন বেড়েই চলছে।জানাগেছে এ জনপদের বালু ব্যবসায়ীরা নিয়ম বর্হিভূত বালু উত্তোলন করায় নদীর গতি পথ পাল্টে নদীর দুই পাড়ে ভাঙন তীব্র আকার ধারন করছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা নদীর ইজারা বর্হিভূত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।ফলে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।ভাঙন কবলিতরা জানিয়েছেন সন্ধ্যার ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন রোধে সরকারী উদ্যোগ না থাকায় তাদের হতাশা বেড়েই চলছে।
এ অবস্থায় তারা সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।এ দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলমের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন কবলিত কয়েকটি স্থানে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।