কুমিল্লা সদর উপজেলার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় একটি সেলুনে দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে পা ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।হত্যার পর ওই যুবকের রক্তাক্ত লাশ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল।সেলুনের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে ওই সেলুনের মালিক লক্ষণ চন্দ্র শীল গ্রেফতার করেন কুমিল্লায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টগেশন (পিবিআই)কুমিল্লা।বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লায় পিবিআই পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।কুমিল্লা পিবিআই জানান,০ঘন্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী কে গ্রেফতার করা হয়।
কুমিল্লায় পিবিআই পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন,দেলোয়ারের কাছে পাওনা ৩লক্ষ টাকা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিলো তাদের মধ্যে।লক্ষণের বক্তব্য অনুযায়ী পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি ধমকি দেয়ার জেরেই দেলোয়ার কে ফোনে ডেকে এনে দোকানে বসিয়ে বডি ম্যসেজ শেষে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নৃশংস ভাবে হত্যা করে।
এপর লাশ বস্তায় ভরে ভোররাতে দোকানের বাইরে দিয়ে তালা লাগিয়ে আমতলি তার নিজের বাড়ির উঠানে মাটির নিচে গর্ত করে নিহত দেলোয়ারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি লুকিয়ে রাখে।এরপর গোসল শেষে স্ত্রীর কাছ থেকে ১হাজার টাকা নিয়ে সকাল ৭টায় চাঁদপুর চলে যায়।চাঁদপুর থেকে তাকে আটক করেন।
উল্লেখ্য গত ২০আগষ্ট রাতে ময়নামতি সেনা মিলনায়তন মার্কেটের সেলুনে ভাঙ্গারী মালের ব্যবসায়ী দেলোয়ার নামের যুবককে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পালিয়ে যায় লক্ষণ শীল।অতঃপর আটক লক্ষণ কে নিয়ে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হচ্ছে।