জীবিত থেকেও মৃত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রতিবন্ধী বিল্পব আজাদ।তার এন আইডি নং ৫০১৩৯৩৩৮৬৪৩২৭ জন্ম তারিখ ০১ আগষ্ট ১৯৭৬ ইং।প্রতিবন্ধি ব্যাক্তি হওয়ায় ভাতা পেতেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই মানুষটি।কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।কারণ জীবিত থাকতেও কাগজে-কলমে তিনি এখন মৃত।
তথ্য সংগ্রকারীরা ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ভুল তথ্য দেওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলে জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত বিপ্লব আজাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল পাড়ায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিল্পব বলেন,কীভাবে আমি মারা গেলাম বুঝতে পারছি না।স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবন্ধি বিল্পব আজাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,বিল্পব আজাদ একজন ক্ষুদ্র মুদি দোকানদার।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় ১ যুগ আগে তাঁকে একটি প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড দেওয়া হয়েছিল।
প্রতি মাসে ঠিকমতো ভাতাও পাচ্ছিলেন তিনি।কিন্তু হঠাৎ করে গত ৭ মাস হলো তাঁর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।বিল্পব আজাদ বলেন, প্রতিবন্ধি ভাতা বন্ধ হওয়ার পর তিনি উপজেলার সমাজ সেবা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কাগজ–কলমে তিনি আর জীবিত নেই।ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে।
ফলে তাঁর ভাতার কার্ডটি বন্ধ হয়ে গেছে।পরে তিনি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও সমস্যার সমাধান করতে পারেননি।ফলে তাঁর ভাতার কার্ডটিও আর চালু হয়নি।এমনকি এই ভুলের কারণে বিল্পব আজাদ করোনা ভাইরাসের টিকা পর্যন্ত নিতে পারছেন না।
দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহি বলেন,বিল্পব আজাদ এখনো জীবিত আছেন।আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে বিব্রত আছি।আমাদের ধারণা,নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহকারীরা ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বিপ্লব আজাদকে মৃত দেখিয়েছেন।ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় দরিদ্র প্রতিবন্ধি মানুষটি ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী বলেন,বিল্পব আজাদকে ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে।ফলে তাঁর প্রতিবন্ধি ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম আজম বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক।তথ্য সংগ্রহকারীরা ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ভুল তথ্য দেওয়ায় সমস্যাটি তৈরি হয়েছে।ভুক্তভোগী আবেদন করেছে আমরা দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।