বয়স জালিয়াতি করে প্রশিক্ষক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে।বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সহকারী শিক্ষক মির্জা মোঃ শওকত জামান প্রধানের বিরুদ্ধে জন্ম তারিখ ১০ বছর কমিয়ে মাস্টার ট্রেইনার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি উপজেলার পার্বতীপুর চামরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে কর্মরত।শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপজেলায় বাংলা বিষয়ে মাস্টার ট্রেইনার জন্য গত ২৭ জুন অধিদপ্তর থেকে চাহিদা চাওয়া হয়।চাহিদা পত্রে উল্লেখ করা হয় মাস্টার ট্রেইনারের জন্য শিক্ষককের বাংলায় অনার্স মাস্টার্স থাকা সহ বয়স সর্বোচ্চ হতে হবে ৪৫ বছর।
চাহিদা মোতাবেক উপজেলা থেকে ১০ জন শিক্ষকের নামের তালিকা প্রেরণ করা হয়।এই তালিকা মনোনীত হয়ে আসলে বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তিনি স্থগিত করেন।তালিকায় সহকারী শিক্ষক মির্জা মোঃ শওকত জামান প্রধানের বয়স ১০ বছর কম দেখানো হয়েছে।
ই-প্রাইমারিতে দেওয়া তথ্যে মতে সহকারী শিক্ষক মির্জা মোঃ শওকত জামান প্রধানের জন্ম তারিখ ১৯৬৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর।কিন্তু চূড়ান্ত হওয়া মাস্টার ট্রেইনারের তালিকায় তাঁর জন্ম সাল দেওয়া আছে ১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর।শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়,প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তিনি জন্ম সাল জালিয়াতি করে তালিকাভূক্ত হয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রমজান আলী এ প্রসঙ্গে বলেন,সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছ থেকে তালিকা প্রাপ্ত হয়ে তিনি তা স্বাক্ষর করে প্রেরণ করেছেন।তালিকা মনোনীত হয়ে আসার পরে এই অসংগতি তাঁর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তা স্থগিত করেন।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসেন আলী বলেন,জালিয়াতির মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি।তদন্তে প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।