হালিম সৈকত: ২৭ জুন ২০১৯ তারিখ আনুমানিক ১৭০০ ঘটিকায় অত্র ব্যাটালিয়নের বিবির বাজার বিওপির একটি বিশেষ টহলদল “টিক্কারচর ব্রীজ” নামক স্থান হতে ২১৮৫ টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী শ্রী প্রশান্ত কুমার দাস (২৯), পিতা-বাদল চন্দ্র দাস, মোগলটুলি, কোতয়ালী, কুমিল্লাকে আটক করে।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদে আজ ২৮ জুন ২০১৯ তারিখ রাতে কোতয়ালী উপজেলাধীন সংরাইশ এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান আসার তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সংগে নিয়ে বিবির বাজার বিওপির একটি বিশেষ টহলদল সীমান্ত পিলার ২০৮২ হতে আনুমানিক ০৩ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে “সংরাইশ বেরীবাঁধ” নামক স্থানে মাদক বিরোধী অভিযানে গমন করলে আনুমানিক রাত ০৩০৫ ঘটিকায় পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা তার সহযোগী মাদক চোরাকারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে।
চোরাকারবারীদের আকষ্মিক গুলি বর্ষনের ফলে বিজিবির টহলদল কৌশলগত অবস্থান নেয় এবং সরকারী সম্পদ ও জানমাল রক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বিজিবির গুলি বর্ষণের প্রেক্ষিতে মাদক চোরাকারবারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মাদক চোরকারবারীদের ছোড়া গুলিতে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী শ্রী প্রশান্ত কুমার গুরুতর আহত হয়। উক্ত স্থান তল্লাশী করে ২২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত মাদক চোরাকারবারীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। স্থানীয় তথ্য মোতাবেক জানা যায় যে, নিহত মাদক ব্যাবসায়ী শ্রী প্রশান্ত কুমার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং সে দীর্ঘ দিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে বিজিবি তাদের প্রিস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্ক হচ্ছে । আসলেই কি সে মাদক ব্যবসায়ী? ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সকলের দাবী বিষয়টির তদন্ত করা।