বাগেরহাটের শরণখোলায় এক ব্যক্তির অত্যাচারে অতিষ্ঠপুরো এক গ্রামের মানুষ।মাদকের কারবার থেকে শুরু করে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করেন না।কেউ প্রতিবাদ করইে হামলে পড়েন তার ওপর।উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন প্রতিবাদকারীদের।
উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর (বাওড়) গ্রামের ফুল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে ফারুক মাতুব্বরের (৪৭) হুমকিতে এখন বাড়িতে আসতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।তার নির্যাতন ও হামলা-মামলার শিকার ওই গ্রামের ১০-১২টি পরিবার কোনো উপায় না পেয়ে শরণখোলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে মোঃ কামাল শেখ বলেন,ফারুক মাতুব্বর সন্ত্রাসী প্রকৃতির এবং এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।গ্রামে ছোট্ট একটি মুদি দোকানের আড়ালেই চলে তার মাদকের কারবার।উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাদকাশক্তরা যায় সেখানে।এছাড়া,আমাদের রেকর্ডিয় জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করে ফারুক মাতুব্বর।
এনিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছে।সেই সূত্র ধরে গত ৬ আগস্ট তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা আঃ জলিলকে (৬২) মারধর করে ফারুক ও তার স্ত্রী।এই ঘটনার চারদিন পরে ১০ আগস্ট উল্টো আমার বাবার বিরুদ্ধে তারা শ্লীলতাহানীর মামলা করে।কামাল শেখ আরো বলেন,আমার ভাই জামাল শেখ বিমান বাহিনীতে এবং বদিউজ্জামান রিয়াজ সেনাবাহিনীতে চাকরি করে।
তারা ফারুক মাতুব্বরের ভয়ে বাড়ি আসতে পারছে না।তারা বাড়িতে এলে মিথ্যা মামলা দিয়া চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।এ অবস্থায় সন্ত্রাসী ফারুক মাতুব্বরের ভয়ে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আঃ বারেক শিকদার,প্রবাসী আঃ জলিল হাওলাদার,বাবুল খান,সোবাহান ফরাজী অভিযোগ করে বলেন,ফারুক মাতুব্বরের হাত থেকে গ্রামের কোনো মানুষ রেহাই পায়নি।
কথায় কথায় দা-লাঠি নিয়ে পড়ে।সেকারণে তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলে না।এলাকার অসহায় মেয়েদের ফুসলিয়ে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ ও আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করায়।শ্লীলতাহানী,মারামারি,লুটপাটসহ ৭-৮টি মামলা রয়েছে তার নামে।
তার নির্যাতনে বাওড় গ্রামের মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।তার কাছে একপ্রকার জিম্মি সবাই।পশ্চিম রাজাপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ডালিম মাঝি বলেন,ফারুক মাতুব্বর ও তার বাবা-ভাই সবাই খারাপ।সামান্য বিষয়রে যার তার নামে মামলা করে।পুরো গ্রামের মানুষ তাদের নির্যাতনের শিকার।
এক বছর আগে গ্রাম থেকে এক কিশোরীকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী নিয়ে ধর্ষণ করার পর সেখানে মামলা ও গ্রেপ্তার হয় ফারুক।জানতে চাইলে ফারুক মাতুব্বর তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র দাবি করে বলেন,আমি ভালো থাকি সেটা তারা চায় না।তাই এমন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন,ফারুক মাতুব্বরের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে দেখা হবে।অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।