মোনায়েম খান: ঠিকাদার সেজে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রতারক মো. ফখরুজ্জামান তপুকে(৪০) দুই দিনের রিমা-ে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। বুধবার আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে রিমা- মঞ্জুর করেন। অন্য তিন আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।অভিযোগে জানা গেছে, জেলা শহরের মোক্তারপাড়ার উৎসব ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স দোকান থেকে এক ভাউচারে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬২২ টাকা অন্য এক ভাউচারে ৮ হাজার ৫৮৭ টাকার ইলেকট্রিক তার, ফ্যান ও অন্যান্য মালামাল ক্রয় করে মি. জামাল ভূঁয়া নাম ভাউচারে প্রতারণা করে নিয়ে যায় প্রতারক মো. ফখরুজ্জামান তপু। এ ঘটনায় সদর উপজেলার মদনপুরের সুরাইয়া আব্বাস ডি.এম.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আহমাদুল্লাহ হারুন বাদী হয়ে গত ১৫ জুন নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেন। নেত্রকোনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এএসআই ফরিদ আহাম্মদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢাকার বনশ্রি থেকে প্রতারক ফখরুজ্জামান তপুকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জে ফারিয়া ইলেকট্রিক থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করে। এ সময় দোকানের ম্যানেজার নাইম, মাইক্রোবাস চালক মো. ইয়াসিন ও ফরিদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার গ্রেফতার হওয়া চারজনকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিজ্ঞ বিচারক প্রতারক ফখরুজ্জামান তপুকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন্। বাকী দিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নেত্রকোনার ডিবির ওসি শাহ্্নুর এ আলম জানান, আদালত একজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বাকী তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেণ্ প্রতারক ফখরুজ্জামান তপুকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।