তৌকির আহাম্মেদ: ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, নবাবগঞ্জ, দোহার ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনটি ডাকাত চক্রের দুই দলনেতাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি অত্যাধুনিক শর্টগান, পাঁচ রাউন্ড গুলিশ একটি ডাকাতি করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাভারে মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলো- রিপন মোল্লা (৩২), বাবুল মিয়া ওরফে লম্বা বাবুল (৫৫), আনোয়ার হোসেন বাবু (৩০), হাসান শেখ ওরফে (৩১), হবিবুর রহমান হবি (৬৫), সাইদ (৫০), আলামিন (৩৫), নাসির শেখ (৩৫), নুর হোসেন ওরফে নুরুল ইসলাম মোল্লা (৩৫), সাইফুল আলম শেখ (৪৫) এবং বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, জিজ্ঞাবাদে ডাকাত সদস্যরা স্বীকার করেছে তারা ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে বসবার করে। দিনের বেলায় তারা লুঙ্গি পড়ে রিক্সা ভ্যান চালায় এবং রাতে ডাকাতি করে থাকে। ডাকাতির পুর্বে তারা আলাদা আলাদাভাবে বাসে চড়ে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে গিয়ে ডাকাতি করে বিভিন্ন জঙ্গলে অবস্থান নেয়। পরে সকাল বেলা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ফেলে দিয়ে নিজেদের মতো করে যার যার বাসায় চলে যায়। প্রতিবার ডাকাতির পূর্বে তারা নতুন নতুন অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা আরও জানায় কুখ্যাত ডাকাত সাইফুল আলম শেখের নের্তৃত্বে সাইফুল গ্রুপ, বাবুল ওরফে মোটা বাবুলের নের্তৃত্বে বাবুল গ্রুপ এবং রিপন মোল্লার নের্তৃত্বে রিপন গ্রুপসহ মোট তিনটি গ্রুপে প্রায় অর্ধশতাধিত ডাকাত সদস্য ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালঞ্জ, ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত রাস্তা ও বাসাবাড়িতে ডাকাতি, ছিনতাই ও গরু চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত।
এদের মধ্যে ডাকাত সর্দার সাইফুলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা এবং রিপনের বিরুদ্ধে ১২ টি মামলা এবং মোটা বাবুলের নামে ১৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে গ্রুপ তিনটির বাকী ডাকাত সদস্যদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃদের মধ্যে ডাকাত সর্দার মোটা বাবুল আশুলিয়ার মরাগাং এলাকায় এবং নবাবগঞ্জ থানার মাঝিরকান্দা বান্দুরা রোডের মহব্বতপুর ডাঙ্গারচর এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।