কালজয়ী রিপোর্ট: কুমিল্লায় সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্টি হওয়া ঈগল ও কিশোর গ্রুপ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও কুমিল্লা পুলিশ বিভাগ। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম কিশোর অপরাধ দমনে প্রশাসনের করনীয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো:আবুল ফজল মীর বলেন কুমিল্লায় বেশ কিছু খুন ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেশীরভাগই নামকরা স্কুলের শিক্ষার্থী- উঠতি বয়সের কিশোররা জড়িত। এসব কিশোররা বিভিন্ন নামে গ্যাং সৃষ্টি করে খুন-ছিনতাইয়ের মত অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। এ নিয়ে কুমিল্লায় অভিভাবক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা বেশ চিন্তিত। তবে কিশোর অপরাধ শূন্যর কোঠায় আনতে বদ্ধপরিকর কুমিল্লা জেলা-পুলিশ প্রশাসন। কুমিল্লায় কিশোর অপরাধ শূন্যর কোঠায় আনতে জেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।
সভায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম তার বক্তব্য বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ প্রশাসন কিশোর অপরাধ দমন করতে প্রস্তুত রয়েছে, তিনি জানান সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া দুটি হত্যার সাথে জড়িতদের আটক করা হয়েছে, এসমস্ত ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আটক করা হবে। তবে এ জন্য জেলায় বসবাসরত সকলের সহযোগিতা চান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কায়জার মোহাম্মদ ফারাবির সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় সরকার কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা:মজিবুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো:তানভীর সালেহীন ইমনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
কুমিল্লার মোগলটুলীতে সংগঠিত আলোচিত আদিল হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ৫ খুনিকে সনাক্ত করেছে পুলশ। ইগল গ্রুপের ৫সদস্য আদিলকে দা ও ছেনি দিয়ে মাথায় ও পায়ে কুপিয়ে জখম করে। ৫ জনের মধ্যে আটক রয়েছে ৩জন আর পলাতক রয়েছে ২জন। স্কুলছাত্র আজমাইন আদিল খুনের পর আটক হয় মোগলটুলীর মদনপাড়ার কর্নফুলী পেপার হাউজ গলির মোঃ হোসেনের ছেলে অনিক একই এলাকার মোঃ জামাল হোসেনের ছেলে খায়রুল ও জামালের ছেলে জাহিদ। পলাতক রয়েছে মুহিদ সাদি ও উত্তর গাংচরের মোঃ স্বপনের ছেলে আদর। আটকদের ফেইজবুক পেইজ, ইগল গ্রুপের ফেইজবুক ও আদিলের বাবা আব্দুল সাত্তার
গত ১৩ মে সোমবার রাতে কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীতে কিশোর গ্যাং ঈগল গ্রুপের সদস্যদের হাতে খুন হয় আজমাইন আদিল। এর আগে ২১ এপ্রিল শবেবরাতের রাতে খুন হয় মিরন। দুটি হত্যার সাথেই জড়িত রয়েছে নগরীর মোগলটুলী থেকে গড়ে উঠা কিশোর গ্যাং ঈগল গ্রুপ। তবে ঈগল গ্রুপের মূল হোতা মুহিদ সাদি সহ সকলকে আটকে দাবি জানিয়েছে আদিল ও মিরনের পরিবারের সদস্যরা।