মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় খুলনার রূপসার শিয়ালি, সুনামগঞ্জের শাল্লায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এবং ঢাকার সাভারে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মন হত্যা ও সারাদেশে হিন্দু পরিবারের উপর হামলা ও মন্দিরের প্রতিমা, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও ভাংচুর, ভয়ভীতি প্রদর্শনে করে দেশত্যাগ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রোজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্ত্বরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা এবং তরুন সনাতনী সংঘ (টি.এস.এস) এর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।তরুন সনাতনী সংঘ (টি.এস.এস) এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শম্ভু সরকার রবিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি জয় ধর, দপ্তর সম্পাদক অনিক ভট্রাচার্য, টিএসএস শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সৌরভ আদিত্য বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের সহ সাধারণ সম্পাদক সত্যকাম ভট্রাচার্য, অনুরাগ দত্ত, পরিতোষ দাশ, সাংস্কৃতিক কর্মী নৃপেশ সুত্রধর প্রমূখ।
বক্তরা বলেন ৭ আগস্ট শনিবার দুপুর ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত খুলনা জেলার রুপসা উপজেলায় শিয়ালি গ্রামে দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ৪ টি বড় মন্দির সহ ১০ টি মন্দির, ৫৭টি বাড়িঘর ও ৭ টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি সহ দেশত্যাগ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয় । সেখানকার হিন্দুরা আর্তনাদ করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট দেশ ত্যাগের অনুমতি প্রার্থনা করছে যা খুবই মর্মস্পর্শী ঘটনা।
বক্তারা আরো বলেন, খুলনার শিয়ালি গ্রামের ঘটনা সহ উল্লেখিত ঘটনা সমূহ তদন্তপূর্বক দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।আক্রান্তদের দ্রুত সহায়তা ও নিরাপত্তার পাশাপাশি সারাদেশের সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নেরর দাবী জানান সরকারের নিকট।