চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় মা-মেয়েসহ ৫ জন আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।১১ই আগস্ট বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার হারুন ছৈয়াল (৪৫) তার স্ত্রী মাসুমা বেগম (৩৯), তার মেয়ে বুলবুলি (১৭), ছেলে তাহসিন (১৪) ও বাবুল দেওয়ানের ছেলে রাজু – (১১)।
এদের মধ্যে অন্যান্যরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিলেও। মাসুমা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে মাসুমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।আহত মাসুমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন পূর্বে তার ছেলে তাহসিন নদীতে গোসল করতে গেলে একই এলাকার ইসমাইল খানের ছেলে ফারুক খান এবং তার সহপাঠী ফরহাদসহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন মিলে তার ছেলেকে মাদক সেবনের পরামর্শ দেন। কিন্তু তার ছেলে তাহসিন ওই কিশোরদের সাথে মাদক সেবন করতে রাজি না হওয়ায় ওই দিন তারা তাকে অনেক মারধর করেন।এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে ঝগড়াঝাঁটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
তারই সূত্র ধরে ঘটনার দিন বিকেলে মাসুমা বেগমের ছেলে তাহসিন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কোড়ালিয়া নতুন রাস্তা নামক স্থানে ইসমাইল খানের ছেলে ফারুক খান ফরহাদ সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন মিলে তার পথ আটকে রাখেন। এসব কিশোর গ্যাংরা তাকে মারধর করবে জেনে সে কোনমতে ভয়ে সেখান থেকে দৌড়ে বাড়িতে চলে যান। মাসুমা বেগমের অভিযোগ, তার ছেলে তাহসিন দৌড়ে বাড়িতে পালিয়ে গেলে ওই কিশোর গ্যাংরা তার পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তার স্বামীকে সামনে পেয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে শুরু করেন।
পরে তার ডাক চিৎকারে তিনি এবং তার নাবালিকা মেয়ে বুলবুলিসহ অন্যান্যরা তাকে বাঁচাতে গেলে কিশোর গ্যাংরা তাদের ওপরও অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ।পরে বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।কোড়ালিয়া এলাকায় এসব কিশোর গ্যাংদের আতঙ্কে রয়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারটি। তাই তাদের জীবন রক্ষার্থে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন তারা।