কুমিল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধীরে ধীরে বাড়ছে গণপরিবহনের চাপ। কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করতে শুরু করেছে গণপরিহন।হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গণপরিবহনের চাপ।
মহাসড়ক নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদে যান চলাচলে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মহাসড়কে কুমিল্লার ৯৭ কিলোমিটার অংশে আটটি মোবাইল টিম কাজ করছে। এছাড়া কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তিনটি রেকার এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।সরজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড়, সেনানিবাস, চান্দিনা ও দাউদকান্দি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস তেমন চোখে পড়েনি। তবে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় মানুষ চলাচল করছে। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের থেকে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।এমদাদ উল্লাহ নামে এক যাত্রী জানান, বাস ছাড়া হচ্ছে অনেক দেরি করে। তাই প্রাইভেটকারে পুদুয়ার বাজার থেকে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত ভাড়া চাচ্ছে ৬০০ টাকা।
আলম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রাম যাব। তবে ২০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাচ্ছি না। মাইক্রোবাসে ভাড়া চাচ্ছে ৭৫০ টাকা।কুমিল্লা রয়েল বাসের ম্যানেজার ফারুক হোসেন বলেন, প্রথম দিনে যাত্রী কম হচ্ছে। তাই সময় একটু বেশি নিয়ে ডিপো থেকে বাস ছাড়া হচ্ছে।হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৭ কিলোমিটার অংশে চেকপোস্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নির্বিঘ্নে পরিবহন চলাচলে হাইওয়ে পুলিশের আটটি মোবাইল টিম কাজ করছে। এছাড়া কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সরিয়ে নিতে তিনটি রেকার এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে