চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রস্ততকৃত ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলিলিটারের লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনকৃত ট্যাংকিতে লিকুয়েড লোড করা হয়েছে। ২ আগস্ট সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে জরুরী তরুল গ্যাস সরবরাহ,র একটি লিকুইডে ভর্তি গাড়ি এসে হাসপাতালে স্থাপনকৃত অক্সিজেন প্লান্টের সাড়ে ৮ হাজার ধারন ক্ষমতার ট্যাংকিতে সাড়ে ৩ হাজার মিলি লিটারের লিকুইড অক্সিজেন লোড করেন স্পেক্টা কোম্পানীর রোকজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হাবিব-উল-করিম, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) ডাক্তার সুজাউদ্দৌলা রুবেল।স্পেক্ট্রা কোম্পানির জরুরী তরল গ্যাস সরবরাহ গাড়িটি নিয়ে আসা লোকজন জানান, হাসপাতালে স্থাপনকৃত ট্যাংকিতে লিকুইড অক্সিজেন লোড করতে প্রায় দুই ঘন্টার মত সময় লাগবে।
তারা রাত ৮টায় গাড়িটি হাসপাতালে আনার পর সব প্রস্তুতি শেষে সাড়ে ৮টার দিকে লিকুইড অক্সিজেন বহন করে নিয়ে আসা গাড়িটি থেকে আনলোড করে হাসপাতালে স্থাপনকৃত টাংকিতে লোড করতে দেখা যায়। তারা আরো জানান, লিকুইড অক্সিজেন লোড করার পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রাতে থেকেই রোগীরা এ লিকুইড অক্সিজেন সেবা পাবে।এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন লোড করলেই অক্সিজেন দেয়া সম্ভব হবেনা। অক্সিজেন মিটার সহ ভিতরে আরো কিছু আনুষাঙ্গিক কাজ বাকি রয়েছে। মিটার আসলে এবং লাইন ক্লিয়ারসহ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রোগীরা অবশ্যই লিকুইড অক্সিজেন পাবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, কোম্পানির লোকজন টাংকিতে লিকুইড অক্সিজেন ভর্তি করছেন। এখন তারা পরীক্ষামুলকভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। আর এই পর্যবেক্ষণ এর মাঝেও কিছু কিছু রোগীরা হয়তো অক্সিজেন সেবা পেতে পারেন। তারপর কোম্পানির লোকজন যদি লাইনসহ সব কিছু ক্লিয়ার করে আমাদেরকে জানান। তাহলে আজ কাল থেকেই রোগীরা লিকুইড অক্সিজেন সেবা পাবে। তিনি আরো জানান আজ রাতে এবং মঙ্গলবার দিন এই অক্সিজেন পরীক্ষামূলকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার জে আর ওয়াদুদ টিপু ভাই এসে তা পর্যবেক্ষণ করে হয়তো বুধ/বৃহস্পতিবার দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে চাঁদপুরে এই লিকুইড অক্সিজেন চালু হওয়ার খবরে চাঁদপুর বাসির মাঝে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। আর এই লিকুইয়েড অক্সিজেন প্লান্টটি চালু হলে অক্সিজেন সংকট থেকে মুক্তি পাবে হাসপাতালের রোগীরা।