মাদারীপুরের কালকিনিতে পূর্বশত্রুতার জেরে মোঃ মিরাজ খাঁন(৪২) কুঁপিয়ে শরীর থেকে পা বিছিন্ন এবং পুত্র নাজমুল খাঁন(২২) নামের এক যুবককে কুঁপিয়ে আহত করল প্রতিপক্ষ। আজ রাত আনুমানিক পৌনে ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসি আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা প্রেরন করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিরাজ খাঁনের পা উদ্ধার করে।এ ঘটনায় থানায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার পূর্বএনায়েত নগর এলাকার কালাই সরদারের চর গ্রামের কবির খাঁনের পরিবারের সাথে একই এলাকার আপাং কাজী, রহমান হাওলাদার,কামাল কাজী,জামাল কাজী,সুমন তালুকদার, দীর্ঘদিনের গ্রাম্য দলাদলী ও শত্রুতা চলে আসছে।
আহত মিরাজ খাঁন এলাকার দলাদলী শত্রুতা থেকে রক্ষা পেতে দীর্ঘ চার মাস যাবত স্ত্রী,ছেলে নাজমুলকে নিয়ে ছেলের শশুর আনোয়ার কল্যানের বাড়ি মৌলবীকান্দি বাওন ভিটা নামক স্থানে বসবাস করতেন।আজ রাত আনুঃ পৌনে ১টার দিকে প্রতিপক্ষের ৩০/৪০ জন সঙ্গবদ্ধ হয়ে আনোয়ার কল্যার ঘরের সামনে রাস্তার উপর বোমা বিস্ফোরণ করে আতস্ক ছড়িয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মিরাজ খাঁনের বাম পা কেটে শরীর থেকে বিছিন্ন করে এবং ছেলে নাজমুলকে কুঁপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা প্রেরন করেন।
পরে মিরাজ খাঁনের লোকজন ভোরে ক্ষিপ্ত হয়ে সমিতির হাট এলাকার কাসেম তালুকদারের ছেলে তাইজুল তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয় এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করান।কাসেম তালুকদার বলেন,আমরা এঘটনার সাথে জড়িত না। আজ ফযরের নামাজ মসজিদে আদায় করে ছেলে নিয়ে ঘরে আসা মাত্র ওরা দা দিয়ে কুপিয়েছ।এসময় ঘরে ডুকে দুইটি স্বর্নের চেইন,তিন লাখ নগদ টাকা ও চারটি গরু নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মিরাজ খাঁনের বিছিন্ন পা উদ্ধার করেন।এঘটনায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদেরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন,রাতেই আমরা ঘটনা স্থান থেকে মিরাজের পা উদ্ধার করি এবং আসামীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি।