সিলেটের কানাইঘাটে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার জাল নোট সহ ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি’র ভাই আফতার উদ্দিন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সে উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি’র সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র। জানা যায় গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে আফতার উদ্দিন পূবালী ব্যাংক কানাইঘাট শাখায় ৩ লক্ষ টাকা জমা দিতে যায়। সে অনলাইনের মাধ্যমে সিলেটের আলতা মিয়া নামের জৈনক এক ব্যাক্তির ০৪৯৬৯০১০৫০৮১১ নং হিসাব নাম্বারে এ টাকাগুলো জমা করতে চেয়েছিল। এসময় সে একটি বাউচার সহ টাকাগুলো ক্যাশ অফিসার মিসবাহ আহমদের হাতে প্রেরণ করে। এই ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ৫’শ টাকা নোটের একটি ৫০ হাজার টাকার বান্ডিল ছিল।
এতে সব টাকা ঠিক থাকলেও ঐ বান্ডিলের ১’শ টি নোটের মধ্যে ৯৫টি নোট জাল হিসাবে সন্দেহ হলে মিসবাহ আহমদ তা প্রথমে শনাক্ত করেন। পরে ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল মাহফুজুল আলম, ব্যাংক অফিসার মোঃ জাকারিয়া, বশির আহমদ ও ক্যাশ ইনচার্জ সুলেমান আহমদকে অবহিত করলে তারা সবাই এসে এ টাকাগুলো পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে মোট ৪৭ হাজার ৫’শ টাকা জাল নোট হিসাবে শনাক্ত করেন। পরে কানাইঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঐ জাল নোট সহ আফতাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এবং সচল ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৫’শ টাকা জব্দ করেন। এব্যাপারে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড কানাইঘাট শাখার ব্যাবস্থাক মাহফুজুল হক বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উল্লেখিত আসামী আফতাব উদ্দিন একজন সংঘবদ্ধ জাল টাকা সরবরাহকারী চক্রের সদস্য। সে জেনে শুনে উক্ত জাল টাকা পূবালী ব্যাংক কানাইঘাট শাখায় জমা দেওয়ার চেষ্টা করে। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত আফতাব উদ্দিন লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি তোতা মিয়ার ছোট ভাই। আফতাব উদ্দিন গ্রেফতারের পর হতে তোতা মিয়াকে কানাইঘাট থানায় অবস্থান করতে দেখা যায়। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায় তোতা মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় চোরাচালনের সাথে জড়িত রয়েছেন। এতে মাদক সহ চোরাচালানের দায়ে তারা একাধিকবার কারাবাস করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের বসতবাড়ি দেশের একেবারে সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামে অবস্থিত।