বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন আজ।এই দিনে তাকে দৈনিক কালজয়ীর পক্ষ থেকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজ এ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জয় বলেন, যারা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।আমার বয়স এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমান বয়স।আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছর পর বাংলাদেশ আজ একটি মধ্যম আয়ের, ডিজিটালাইজড দেশ। আমি এখন একজন মধ্য বয়সী টেক উদ্যোক্তা!
সজীব ওয়াজেদ জয় ১৯৭১ সালের এই দিনে (২৭ জুলাই) পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসেন।স্বাধীনতা যুদ্ধের বছরে জন্মেছেন বলে নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দৌহিত্রের নাম রেখেছিলেন জয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক (আইসিটি) উপদেষ্টা তিনি।তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পিছিয়েছিল।এ খাতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তার প্রস্তাবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় ইশতেহারে “ডিজিটাল বাংলাদেশ”গড়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
সে সময় বিরোধীপক্ষ ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে নানা কটাক্ষ,সমালোচনা করলেও আজ তথ্য ও প্রযুক্তিগত সুবিধা মানুষের হাতের মুঠোয়।দ্রুত ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে এগিয়ে থাকা দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম।এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রূপকল্প বাস্তবায়নে আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে পাশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণেই।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ কোনো কর্মসূচি না থাকলেও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জয়ের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।বিকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সীমিত পরিসরে কেক কাটা ও মিষ্টি বিতরণ করবে।
এছাড়াও দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিতব্য এ আলোচনা সভায় অংশ নেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদরা। প্রধান অতিথি হয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর। উক্ত সভায় দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়, বর্তমান মহামারি করোনায় সবাই সু-স্বাস্থ থাকতে পারি।