নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরে আসা বাগেরহাটের শরণখোলায় দুটি ফিশিং ট্রলার মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ট্রলার দুটির মাছ নিলামে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ভ্রম্যামণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত।
জব্দকৃত ট্রলার দুটি হল উপজেলা সদরের পাঁচরাস্তা এলাকা এজেড এম ফিরোজ আহমদের এফবি মা-বাবার দোয়া এবং মোরেলগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের আনোয়ার গাজীর এফবি আল্লাহর দান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ বলেন, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে ৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার আগে আইন অমান্য করে মৎস্য আহরণ শেষে ফিরে আসা দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মালিকদের জরিমানা ও মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এভাবে যদি আরো কোনো ট্রলারের খোঁজ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, জব্দৃকত ট্রলার মালিকদের ১০হাজার টাকা জরিমানা এবং দুটি ট্রলারের থাকা সামুদ্রিক টুনা ও অন্যান্য মাছ ১১ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এসময় দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জেলে-মহাজনসহ সকলকে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।
শরণখোলা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি মো. দেলোয়ার ফরাজী বলেন, আমাদের এলাকার সকল জেলে-মহাজন সরকারের আইন মেনে ৬৫দিনের অবরোধ সফলভাবে পালন করেছে। দু-একটি ট্রলার গোপনে অবরোধ শেষ হওয়ার তিনদিন আগে সাগরে যায়। তবে ভবিষ্যতে আমরা আরো সতর্ক হবো।