সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পাথরবাহী নৌকা ও স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সম্মূখে পাটলাই নদীর মোরে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে বোটটি ভেঙ্গে ডুবে যাওয়ায় আহত হয়েছেন ৬ জন ও নিহত হয়েছেন স্পীডবোট চালক উপজেলার সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামে বদরুল আমিনের স্ত্রী জোছনা বেগম (৩০) ও মেয়ে রুমু আক্তার (৮)।এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো উপজেলা জুরে শোকের ছয়া নেমে এসেছে।
দূর্ঘটনায় আহতরা হলেন, রিনা বেগম (৩৫), শাপলা আক্তার (২৮)। দুজনই তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন খানের মেয়ে । আহত রিনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার বানিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজার হতে ৮ জন লোক নিয়ে স্পিটবোটটি বালিয়াঘাট ক্যাম্পের সম্মূখে পাটলাই নদীতে আসা মাত্রই পাথর বোঝাই স্টিলবডি নৌকার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বোটটি ৮ জন যাত্রীসহ ডুবে যায়। তাঁদের মধ্যে ২ জন সাতরে তীরে উঠে আসেন।
আহত ৬ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও বাকি দুইজনকে তাৎক্ষণিক খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে নিখোঁজের ৩ ঘন্টা পর নিখোঁজ হওয়া মা-মেয়েকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রিনা বেগম (৩৫)কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে, অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে স্পিডবোট ও স্টিলবডি নৌকাটি জব্দ করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ঘটানার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, নৌকা এবং স্পিডবোট আপাতত পুলিশ হেফাজতে আছে। ঘটনার সাথে সাথে স্টিলবডি নৌকার মাঝিসহ নৌকায় থাকা শ্রমিকরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকেই আটক করা সম্ভাব হয়নি। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।