সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জর্জ কোর্টের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কাতিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১৭ জুলাই) সিলেট নগরের উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। (ইন্নাল্লি……রাজিউন)।
জানা যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে এবং ১ মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন রেখে গেছেন। তিনি পাইলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন।
এদিকে অ্যাডভোকেট শফিকুল আলমের মৃত্যুতে পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এমএ মান্নান এমপি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন। সজ্জন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও সমাজসেবক শফিকুল আলমের মৃত্যুতে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রবিবার (১৮জুলাই) সকালে প্রথম জানাজার নামাজ সকাল সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ নতুন আদালত প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে জগন্নাথপুর নিয়ে আসা হলে স্থানীয় মাদ্রাসা পয়েন্টে গাড়িতে থাকা মরদেহ সামনে রেখে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আবু আইয়ূব আনছারী।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বেলা ৩টায় মরহুমের লাশ বাড়ীতে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারন হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার জনসাধারন প্রিয় মানুষটি দেখতে আসেন। সন্ধা ৬টায় সময় জানাজার নামাজ শেষে পঞ্চায়িত কবর স্থানে দাপন করা হয়েছে।