আবদুল রহিম (৪৫) গত ২৩শে অক্টোবর বুধবার আনোয়ারা উপজেলায় দেয়াং পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যহাতির পালের আক্রমণে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।শরীরে বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তার শরীরের তাজা রক্ত লাল হয়েছিল আনোয়ারা উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত।শরীরে দেখা দিয়েছে রক্তশূন্যতা। ডাক্তার বলছে রোগীকে বাঁচাতে হলে ইমারজেন্সি (B+)পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন।
সোশ্যাল মিডিয়া, ফেইসবুক পোস্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন রকম এক ব্যাগ রক্ত পাওয়া যায়।কিছুক্ষণ পরে অপরিচিত একটা ব্যাক্তি কল দিয়ে বললো ভাইয়া আমার রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ। আমি রক্ত দিবো।আমি বললাম ঠিক আছে ভাইয়া,আপনি আসলে খুব উপকার হবে।ঠিক আছে ভাইয়া আমি আসতেছি।৫ মিনিট পড়ে কল দিয়ে বললো ভাইয়া একটা কথা লজ্জায় বলতে পারছিনা।যদি গাড়ি ভাড়াটা একটু পাঠিয়ে দিতেন।আমি বললাল ঠিক আছে ভাইয়া আপনি একটা প্রাইভেট সিএনজি নিয়ে আসেন।ভাড়া আমি দিবো।তিনি আবার কিছুক্ষণ পড়ে আবার কল দিয়ে বললো ভাইয়া গাড়ি পাচ্ছি না?
ভাইয়া আমার এই নাম্বারে বিকাশ আছে।আপনি যদি গাড়ি ভাড়াটা একটু পাঠিয়ে দিতেন।ঠিক আছে ভাইয়া পাঠাচ্ছি। রাত তখন ১টা সব দোকান বন্ধ।ফার্মেসী দোকানে গিয়ে বললাম, ভাইয়া বিকাশে টাকা পাঠানো যাবে।তখন ফার্মেসী দোকানদার বললো আমরা তো বিকাশ করিনা।তবে যদি আপনার জরুরি প্রয়োজন হয়।তাহলে আমার বিকাশ একাউন্ট থেকে ৪০০ টাকা মতো পাঠাতে পারবেন।আমি একটু আগে আমার একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করছি।
আমি বললাম ঠিক আছে ভাইয়া, ৪০০ টাকা আপনি পাঠিয়ে দেন। তারপর ডোনারকে বিকাশে টাকা গেছে কিনা জিজ্ঞাস করার পর তিনি বললো ভাইয়া টাকা পেয়েছি তবে যদি আরো ১২০ টাকা পাঠিয়ে দিতেন।তাহলে ৫০০টাকা তুলতে পারতাম। পরে আমি বলি সব দোকান বন্ধ, ফার্মেসীর এক ভাইয়ার কাছ থেকে ৪০০ টাকা পেয়েছি তা আপনাকে পাঠিয়েছি। তাকে আরো বলি যে আপনি একটা সিএনজি নিয়ে চলে আসেন আপনার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন আমি করবো! তারপর ওনি কল কেটে দিল। আমি ওনার জন্য অপেক্ষা করতেছি। রাত তখন ২ টা বেজে গেছে। অনেক্ষন পরে ওনার নাম্বারে কল দিলে দেখলে ওই পাশ থেকে বললো আপনি ভূল নাম্বারে কল দিয়েছেন।তখন বুঝতে পারলাম। আমি আসলে একজন প্রতারকের ফাঁদে পড়েছি।ওই প্রতারক টাকা মেরে কল ডাইভার্ট করে রাখছে।
যে রক্তের বিনিময়ে মানুষ জীবন বাঁচে।সেই রক্ত দেওয়ার নামে এই কেমন প্রতারণা । অনেকে এই রকম প্রতারককে বিশ্বাস করলে রক্ত শূন্যতায় রোগী মারা যেতে পারে। তাই রক্ত দিবে বলে আগে কেউ টাকা চাইলে অতি পরিচিত না হলে আগে কেউ টাকা দিতে যাবেন না। না হলে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। নিজে সতর্ক থাকুন এবং অপরকে সতর্ক করুন।