বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর বিজয় উল্ল্যাসের দিন ভাংচুর ও লুট পাট থেকে রক্ষা পায়নি চাঁদপুর আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের অফিস। ওইদিন যারা সহিংসতা করেছে তারা আনঞ্জুমানের অফিসের বিভিন্ন দরজা, জানালা এবং ভেতরের থাকা চেয়ার টেবিল ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় তারা অফিসে থাকা ২১ থান কাপনের কাপড় লুট করে নিয়ে যায় বলে অফিসের লোকজন জানিয়েছেন।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় চাঁদপুরের বিভিন্ন বেওয়ারিশ লাশের দাফন কাফন সহ গরীব অসহায়, দুঃস্থ মানুষদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন প্রদান করে আসছে। করোনাকারীন সময়েও গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, মাস্ক, হেক্সিসল বিতরণ, অক্সিজেন সেবা সহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এই আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসান। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আঞ্জুমানের এসব মানব সেবা করার জন্য চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ট পৌর কবরস্থানের অভিমুখে মসজিদ মার্কেটের ২য় তলায় একটি অফিসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
গত ৫ আগস্ট এই আন্দোলনে বিশাল আকার ধারন করলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। এমন খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে চাঁদপুর শহরে জুড়ে শুরু হয় বিজয় মিছিল ও বিজয় উল্ল্যাস। এতে ছাত্র জনতার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা কর্মীরাও অংশ গ্রহন করেন। ৫ আগস্ট বিকেলেই শহরের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর করার খবর পাওয়া যায়। একই সাথে যারা এসব সহিংসতা করেছেন তারা ওইদিন বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্টে থাকা আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের অফিসের গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা অফিস কক্ষের দরজার তালা ভেঙ্গে দরজা, জানালার গ্লাস, টেবিলের দামি গ্লাস এবং চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেন। একই সাথে বেওয়ারিশ লাশের জন্য রাখা অফিসে থাকা ২১ থান কাফনের কাপড় লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
একটি মানব সেবা প্রতিষ্ঠানে এমন হামলা ভাংচুর এবং মৃত মানুষের জন্য রাখা কাফনের কাপড় লুট করার ঘটনাটি নিন্দার চোখে দেখেছেন সচেতন মহল।