ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রোববার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি। এতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়াসহ ভেঙেছে অনেক গাছ। এছাড়া দীর্ঘ ১০ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আবাসিক হলগুলোতে। ফলে পানি সংকটে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (২৭ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঝড়ের গতিবেগ। তবে এসবের মাঝেও ক্লাস পরীক্ষা চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে গেছে। প্রধান ফটক, জিয়া মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। এছাড়া ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নির্মাণ শ্রমিকদের আবাসস্থলের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে।
এদিকে রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় হলগুলোতে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে হলগুলোতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হলে দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ নাই। টয়লেটে পানিও নাই। বাহিরে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকেরই ক্লাস-পরীক্ষা আছে। পানি না থাকায় সকালে উঠে ফ্রেশ হওয়া ও গোসলটাও করতে পারছি না। সবমিলিয়ে খুব বাজে পরিস্থিতির মধ্যে আছি।
তবে ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান। তিনি বলেন, স্বাভাবিক ভাবেই ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। যদি পরিস্থিতির অবনতি আরও বেশি হয় তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আজ ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিস বন্ধ রেখেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া ঘুর্ণিঝড়ের কারণে ২৭ মে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।