আজ ১৯ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার চাঞ্চল্যকর জুয়েল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. খলিলুর রহমান খলিল (৪০) কে দীর্ঘ ১৪ বছর পর র্যাব-১৪ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪ এর পক্ষে কোম্পানী অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় জানান,
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক চৌকস দল আসামীর অবস্থান সনাক্তের মাধ্যমে ১৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ২ টার সময় লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানা এলাকা হতে জুয়েল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী মো. খলিলুর রহমান খলিল ড্রাইভারকে র্যাব গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামী খলিলের বাবা মৃত কলিম উদ্দিন, গ্রাম- চর ষোলাহাসিয়া (করইতলা), থানা: গফরগাঁও, জেলা: ময়মনসিংহ।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞ আদালতের রায় পর্যালোচনায় জানা যায়, চুরির জের ধরে গত ২২ জানুয়ারী ২০০৯ খ্রীষ্টাব্দে সকাল অনুমান ৫ টার সময় ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার ষোলাহাসিয়া গ্রামের ধৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. খলিলুর রহমান খলিল ড্রাইভার ও তার আত্নীয় স্বজন মিলে ভিকটিম জুয়েলের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে জখম করে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ভিকটিমকে ভালুকা উপজলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনা ঘটার দিনই মৃত্যুবরণ করে। ভিকটিমের মৃত্যুর পর তার মা রিনা (৬০) গফরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলা নং- ১৯(১২)০৯, ধারাঃ ৩০২/৩৭৯/৩৪/ পেনাল কোড। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন থাকার পরে গত ২৮ আগষ্ট ২০১৯ খ্রীষ্টাব্দে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলায় রায় যাবজ্জীবন প্রদান করেন।
র্যাব-১৪ ও র্যাব-১১ তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অত্র মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্যতম প্রধান আসামী খলিলকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে গফরগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হইয়াছে।