৩০ মে মঙ্গলবার সকাল অনুমান ১১ টার সময় র্যাব – ১৪ ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন চুরখাই বাজার এলাকা হতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক, মো. আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, ভিকটিম ইমান আলী (২৮) ও মো. আবু বক্কর (৪০) চাচাতো ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক শত্রুতা ছিল। তাদের এই পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যারকান্ডটি ঘটে।
বিগত ০৫ নভেম্বর ২০১০ খ্রীষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন চুরখাই মাঠপাড় এলাকায় ভিকটিম ইমান আলীকে আসামী আবু বক্কর ডেকে নিয়ে যায়। অতঃপর ২০-২৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইমান আলীকে জখম করে ফেলে রেখে যায়। আশপাশের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ভিকটিম ইমান আলী মৃত্যুবরণ করে। এরই প্রেক্ষিতে, ভিকটিমের পিতা মো. ইদ্রিস আলী (৬৫) (বর্তমানে মৃত) বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের পর, এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মূলহোতা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সহ আসামী সাদ্দাম ও কালুর বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গত ২৮ মে ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দে উক্ত ০৩ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। বাকি আসামীদের বেকুসুর খালাস প্রদান করেন। হানিফ নামের এক শিশু আসামী থাকায় তার মামলাটি শিশু আদালতে চলমান রয়েছে। বর্তমানে আসামী সাদ্দাম ও কালু জেল হাজতে আছে।
র্যাব – ১৪ ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক, অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন প্রেস ব্রিফিং – এ জানান গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরও জানান, উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে, সেই প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।