ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অনুমতি ছাড়াই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার উৎসব। এ সব মাটি যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা ও ফসলি জমিতে বিভিন্ন স্থাপনার কাজে।এই নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বন্ধের আলোচনা হলেও।উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহোৎসব।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ আকাশী বিলে ফসলি জমির মাটি কাটে। কয়েকটি চক্র বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে।এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।শনিবার ৪ মার্চ সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,কয়েকটি ভিকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা। ছবি দেওয়া হল। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকেরা।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিভিন্ন এলাকাসহ কালিকক্ছ, সরাইল সদর, শাহবাজপুর, শাহজাদাপুর, নোয়াগাঁও, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী এসব মাটি বিক্রি কার্যক্রম চলছে।উপজেলার মনির মিয়া বলেন, উপজেলার প্রত্যেক এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট।
অসহায় কৃষকদের আর্থিক সংকটের সুযোগ নিচ্ছে মাটি খেকো সিন্ডিকেট ও ইটভাটার মালিকরা। আর্থিক সহযোগিতাসহ মাছ চাষের প্রলোভন দেখিয়ে ও ফসলের থেকে মাছ চাষে অধিক লাভের কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে ফসলি জমি।বিভিন্ন এলাকায় গেলে দেখা যায়, ফসলি জমি ১৫-২০ফুট গর্ত করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়,
এতে পাশের ফসলি জমি ধ্বসে পড়ছে। একাধিক চাষের জমির মাঝে জলাশয় তৈরি হওয়ায়। কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুঃচিন্তার ছায়া।এছাড়াওভাটা ট্রাক ওহাইড্রলিক ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার সময়। রাস্তার পাশে থাকা ফসল ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। এতে রাস্তার পাশের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এসকল বেপরোয়া ভাবে ট্রাক চলাচলে রাস্তায় ভাঙন ধরেছে। পাকাঁ রাস্তায় মাটির প্রলেপ পড়তে শুরু করেছে। কালিকচ্ছ ইউনিয়ন ধরন্তী আকাশী বিলে নতুন করে সরকারি জায়গার মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়রা বলেন, শুধু ফসলি জমি না নদীর পাড়ে মাটি, সরকারি খাঁস জমিসহ সরকারি বিলের মাটিও কেটে নিচ্ছে এসকল সিন্ডিকেট।এলাকাবাসীসহ একাধিক কৃষক জানায়, এই সব মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষমতাশালী।
তাদের বিরোধে প্রতিবাদ করলে তার জীবননাশসহ মামলা হামলার হুমকি দেয়। আমাদের ফসলি জমির এতো ক্ষতি করার পরও আমরা কিছুই বলতে পারি না। আগের মতো ফসল ফলাতে পারব কিনা সেটাও জানি না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. একরাম হোসেন জানান,মাটি কাটার জন্য অনুমতি প্রয়োজন, অন্যথায় মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তিনি বলেন,মাটির উপরের স্তর বেশ উর্বর, যা এই সিন্ডিকেটের ফলে ফসলি জমি বেশ হুমকির মুখে।
এসব বন্ধ না হলে ফসলি জমি কমে যাবে।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন,আমি এসকল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি।কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী আকাশী বিলের মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যহত থাকবে। ইউএনও বলেন, কালিকচ্ছের নায়েবকে পাঠিয়েছি।