মাদারীপুরের কালকিনিতে অফিস টাইমে বাসের টিকেট বিক্রি করতে দেখা গেছে আবুল খায়ের নামে এক যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে। ঘটনাটি আজ রবিবার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সিডি খান ইউনিয়নের বটতলা বাজারে। ওই কর্মকর্তা বর্তমানে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই কর্মকর্তা বলেন আমি এমনিতেই সেখানে বসা ছিলাম।তবে ঘটনার সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল খায়ের এর বাড়ি কালকিনি উপজেলার সিডি খান ইউনিয়নের মাথা ভাঙ্গা (মোহাম্মদ নগর) নামক গ্রামে।
তার বাড়ির পাশে বটতলা নামক বাস ¯ট্যান্ডে রবিবার দুপুরে একটি পরিবহন বাস কাউন্টারে তাকে টিকিট বিক্রি করতে প্রায়ই দেখা যায়। পরে যাত্রী সেজে,ঘটনার সত্যতা ও প্রমান রাখার জন্য, তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করা হয় কাউন্টারের লোক কোথায়? তখন তিনি উত্তর দেন তিনিই কাউন্টারের লোক। পরে তিনি জিজ্ঞেস করেন টিকিট লাগবে কিনা? তিনি বলেন, সাড়ে তিনটার গাড়ি ৩.২০ এ চলে এসেছে। চারটার গাড়িতে টিকিট আছে সামনের দুটি(এ ১,২)। টিকেট লাগলে জলদি বলেন।
পরে বিষয়টি জানার জন্য কথা হয় কালকিনি ঐ বাস কাউন্টারের প্রতিনিধির সাথে। তিনি জানান বটতলা কাউন্টার আবুল খায়ের ভাইয়ের নামে। তিনিই সে কাউন্টার পরিচালনা করেন।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলেও জানা যায়, আবুল খায়ের প্রায়ই অফিস টাইমে টিকেট কাউন্টারে বসে টিকেট বিক্রি করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল খায়ের বলেন, তিনি সেখানে ছিলেন না। তিনি এমনিতেই কাউন্টারে বসা ছিলেন। তবে ভিডিও প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি।এ ব্যাপারে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াছমীন বলেন, আবুল খায়ের অফিসে নেই। কোন এক কাজে মাদারীপুর গেছেন। অফিস টাইমে তিনি বাসের টিকেট বিক্রি করতে পারে না। আগামীকাল তাকে অফিসে ডেকেছি কথা বলে দেখবো। ঘটনার সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি।