1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. admindailykaljoyi@gmail.com : admindailykaljoyi :
  3. kaljoyi@gmail.com : kaljoyi :
  4. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবী গুম, স্থানীয়দের দাবী নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ
বাংলাদেশ । রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
কুমিল্লা জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উদযাপন কুমিল্লায় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন যৌতুকের প্রাইভেট কার চালানো শিখতে দুর্ঘটনা: আহত-৪ সড়ক পথে প্রতিদিন ঝরেছে ১৫ প্রাণ : সেভ দ্য রোড কুমিল্লায় সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হকসহ ১২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা চৌদ্দগ্রামে নারীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা হামলাকারী গ্রেফতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক মানোন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি : সেতু সচিব চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা নীলফামারীতে অনলাইন ভিসা প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার র‍্যাব পরিচয়ে সিএনজি ছিনতাই জিপিএস ট্র্যাকিংয়ে ছিনতাইকারী গ্রেফতার

অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবী গুম, স্থানীয়দের দাবী নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ

শাহীন আলম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২
  • ৪৯৭ বার পড়েছে
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাদ্রাসা থেকে তবলিগ জামাতে গিয়ে রাব্বি নামের এক শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। তার পরিবারের দাবী তাকে অপহরণ করে গুম করা হয়েছে। অপরদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও তার সাথে তবলিগ জামাতে যাওয়া লোকজনের দাবী রাব্বি তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে গেছে।
শিশুটির পরিবার অপহরণ দাবী করলেও পুলিশ বলছেন অপহরণ নয় সে তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে গেছে। এদিকে গত ১৩ জুলাই আদিতমারীর মহিষখোচার তিস্তা নদীতে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবী ওটাই রাব্বির মরদেহ। তবে পরিবারকে খবর দিলেও তারা কোন কর্নপাত না করে মানববন্ধন নিয়ে ব্যস্ততা দেখান। রাব্বিতুল ইসলাম রাব্বি উপজেলার সিংগীমারী এলাকার আব্দুল রশীদের পুত্র। এছাড়া সে আলিমের ডাঙ্গা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গত ৬ জুলাই ওই মাদ্রাসা থেকে রাব্বিসহ প্রায় ১৮ জন উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের সোহাগের বাজার এলাকার একটি মসজিদে তিন দিনের জন্য তবলিগে যায়। এরপরের দিন ৭ জুলাই রাব্বি ওই মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী মসজিদের পাশেই খরস্রোতা তিস্তা নদীতে গোসল করতে নামে। গোসল করার এক পর্যায়ে রাব্বি স্রোতে ডুবে যায়। এ সময় তার সাথে গোসল করতে নামা শিক্ষার্থীরা চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে নদীতে নেমে তাকে খোঁজা খুজি শুরু করে। তাকে খুজে পাওয়া না গেলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়।
তারা এসে অনেক চেষ্টা করেও রাব্বিকে খুজে পায়নি। রাব্বি তিস্তা নদীতে নিখোঁজ হয়েছে এমন খবর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার পরিবারকে জানালে তা মানতে তারা নারাজ। রাব্বিকে গুম করে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে দাবী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর পানিতে ডুবে নিখোজ হওয়ার সত্যতা পায়। রাব্বির পরিবার তা মানতে নারাজ। আর তাই গত ১৭ জুলাই বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত-৪ লালমনিরহাটে একটি মামলা দায়ের করেন রাব্বির বাবা রশীদুল ইসলাম।
এদিকে গত ২১ জুলাই নিখোজ রাব্বিকে উদ্ধার ও তাকে অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে দাড়িয়ে মানববন্ধন করেন তার পরিবারের লোকজন। এর একদিন পর ২৩ জুলাই আবারও মানববন্ধন করেন রাব্বির পরিবারের লোকজন। পরিশেষে ২৭ জুলাই উপজেলা পরিষদ গেটের পাশে আমরণ অনেশন অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার।
সরেজমিনে উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের কিসামত নোহালী সোহাগের বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তাবলীগ জামাত যে মসজিদে গিয়েছিলেন তার পাশেই বয়ে গেছে খরস্রোতা তিস্তা নদী। যতদূর চোখ যায় পানি আর পানি। যেখানে শিশু শিক্ষার্থী রাব্বি নিখোঁজ হয়েছেন সে স্থানেই নিমিষেই যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ডুবে যেতে পারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রত্যেক বছরই এখানে কেউ না কেউ পানিতে ডুবে মারা যান।
এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াছিন, ফেন্সি বেগম বলেন, কয়েকজন শিশু তিস্তা নদীতে গোসল করতে নামে। তার মধ্যে রাব্বি পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। আমরা ও ডুবুরিরা অনেক খোঁজ খুঁজি করেও তার হদিস পাইনি।
রাব্বির পরিবারের দাবী রাব্বিকে গুম করে বিক্রি করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা নূর হোসেন সহ আরও অনেকে জানান, আমরা কেন মিথ্যা বলবো? রাব্বিও আমাদের কেউ না, যারা তাকে এনেছে তারাও আত্বীয় না যে মিথ্যা কথা বলবো। এখানে অনেকে দেখেছে সে গোসল করতে নামে। আর তাকে খুজতে শত শত মানুষ পানিতে নামে।
এ বিষয়ে উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের কিসামত নোহালী সোহাগের বাজার এলাকার আরাফাত উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম মমিনুর রহমান বলেন, হাফেজ রাব্বিসহ ১৭ জন সাথী ভাই এই মসজিদে আসেন। ২য় দিন রাব্বিসহ কয়েকজন নদীতে গোসল করতে নামে। এরপর তাদেরই একজন চিৎকার করছে। রাব্বি ডুবে গেছে।  আমরা সেখানে ছুটে যাই। আর স্থানীয় লোকজনসহ ডুবুরিদল অনেক খোঁজাখুজি করেও পাননা। এছাড়া তার পরিবার যে দাবী করছে তা অনৈতিক। তাকে কোন গুম করা হয়নি। এখানকার শত শত মানুষ তাকে খোজার জন্য নদীতে নামে।
ডুবে যাওয়ার পর রাব্বিকে খুজতে পানিতে নামা স্থানীয় যুবক ইউনূস বলেন, আমি পাশেই ছিলাম। চিৎকার শুনেই এগিয়ে যাই। যখন ওই শিশুর সাথে থাকা অপর শিক্ষার্থীরা বলে যে কেউ ডুবে গেছে, তখন আমি নিজেই নদীতে নেমে খুজতে থাকি। এরপর ডুবুরিদল আসে। তারাও অনেক চেষ্ট করে খুজে পায় না।
রাব্বির সাথে গোসল করতে নামা ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলেন, রাব্বিসহ আমরা এক সাথে গোসল করতে নামি। এ সময় সে পানিতে ডুবে যায়। তখন আমরা চিৎকার করি। এরপর স্থানীয়রা এসে পানিতে নেমে তাকে অনেক খোঁজা খুঁজি করেও পায়নি।
এ বিষয়ে রাব্বির বাবা আব্দুর রশীদ বলেন, ওই মাদ্রাসার হুজুর আমাকে না বলে রাব্বিকে নিয়ে যায়। তারা আমার ছেলেকে গুম করেছে। সে পানিতে ডুবে যায়নি। তাকে অপহরন করা হয়েছে। ওই এলাকার শত শত মানুষ বলছেন রাব্বি ডুবে গেছে আর আপনি বলছেন তাকে গুম করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে রাব্বির বাবা কোন সদূত্তর দিতে পারেনি।
উপজেলার আলিমের ডাঙ্গা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম বলেন, রাব্বি নদীর পানিতে গোসল করতে নেমে ডুবে গেছে। আমরা অনেক খোঁজা খুজি করেও পাইনি৷ আমরা কেন তাকে গুম করবো। তাবলিগে আসার জন্য যা খরচ হয় তা তার পরিবার দিয়েছে। এখন তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে। আপনারা ওই এলাকায় গিয়ে খোজ নেন যদি কেউ বলে আমরা অপরাধী তাহলে সব দোষ মাথা পেতে নিবো।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাব্বির পরিবার অপহরণ দাবী করলেও পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তদন্ত করে জানতে পারে রাব্বি পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। সেখানে শত শত মানুষ ডুবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেন। এছাড়া এর কয়েকদিন পর আদিতমারীতে তিস্তা নদীতে একটি মরদেহ পায় পুলিশ। মরদেহ শনাক্তের জন্য রাব্বির পরিবারকে খবর দেয়া হলেও তারা কর্নপাত করেনি। তাই মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

togel online menjadi hiburan favorit bagi banyak pemain yang menyukai tantangan angka. Menggabungkan ketajaman analisis dan faktor keberuntungan sering kali menghasilkan kemenangan yang memuaskan.

Bermain di slot gacor hari ini menawarkan sensasi unik berkat tampilannya yang simpel namun memanjakan pemain. Cocok dinikmati siapa saja yang mencari peluang kemenangan di setiap putaran.

Menurut pengalaman banyak pemain, slot gacor memberi peluang jackpot yang cukup tinggi karena sistemnya yang transparan dan mudah dipahami.

Untuk pemain yang jeli membaca momen, link slot777 menyuguhkan kesempatan menang besar bahkan dengan modal yang tidak terlalu besar.

Dengan strategi tepat, slot online bisa menjadi sarana terbaik untuk berburu hadiah besar sekaligus mengatur permainan dengan bijak.

togel online menghadirkan pilihan pasaran resmi yang beragam, memberi peluang bagi pemain untuk mencoba berbagai pola dan teknik bermain.

togel online menawarkan variasi permainan yang luas, disertai promo menarik untuk memperbesar peluang menang setiap harinya.

Berpartisipasi di toto resmi memberi kesempatan pemain menguji strategi dan keberuntungan demi meraih hadiah bernilai tinggi.

প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD