লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বিয়ের ১১ বছর পর যৌতুক না পেয়ে পুত্রবধুকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার শ্বশুরবাড়ি উপজেলার জমগ্রাম (ডাংগাপাড়া)এলাকায়।
অভিযুক্তরা হলেন- ভুক্তভুগীর স্বামী মজিদুল ইসলাম, তার শ্বশুর আমিনুর রহমান, শাশুড়ী মর্জিনা বেগম ও নানী শ্বাশুড়ী জমিলা বেগম। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১১ বছর আগে উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার শিল্পী আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার জমগ্রামের মজিদুল ইসলামের। বিয়ের কয়েক বছর পর তার কাছ থেকে যৌতুক চাইতে শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তা দিতে না পারায় বিভিন্ন সময় পুত্রবধুর ওপর শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকেন স্বামী ও তার পরিবার।
অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে কয়েকবার সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করেন তারা। এমতাবস্থায় গত ২১ জুলাই আবারও যৌতুকের দাবিতে ওই পুত্রবধুকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। এ সময় বোনকে বাঁচাতে ভাই রব্বানী গেলে তাকে মারধরের হুমকি দেন তারা । নিরুপায় হয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে মেয়েকে উদ্ধার করেন বাবা আতিয়ার।
শুধু তাই নয় বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ ছেলের পরিবারকে দেড় লাখ দেন গৃহবধূর বাবা আতিয়ার রহমান। তারপরও টাকার লোভ সামলাতে না পেরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতো তারা। তাদের সংসারে একটি ৫ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধান অভিযুক্তর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।