লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সাড়ডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার ছবির অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১টায় ঐ বিদ্যালয়ের সামনে লালমনিরহাট বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকসহ এলাকার সাধারণ জনগন অংশগ্রহন করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবী, প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার ছবি বিদ্যালয়ের যোগদানের পর থেকে নানান সমস্যায় সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। বিদ্যালয়ের টয়লেটের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পার্শ্ববর্তী বাড়িতে টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে তারা নানান কথা শোনান। একমাত্র টয়লেটটিতে প্রধান শিক্ষক নিজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। বাকিটা সময় ওই টয়লেটে তালা ঝুলিয়ে রাখেন। চলতি মৌসুমে প্রচন্ড গরমে সারা দেশের লোক দিশেহারা হলেও বিদ্যালয়ে নেই কোন পাখার ব্যবস্থা। বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলটি দীর্ঘদিন যাবত নষ্ট থাকলেও সেটা মেরামত করার কোন ভুমিকা নেই প্রধান শিক্ষকের। শিক্ষার্থীদের নেই কোন খেলার উপকরণ, ফলে তারা নিজেরাই চাঁদা তুলে খেলাধুলার সামগ্রী ক্রয় করে খেলাধুলা করেন। স্কুলের ল্যাপটপটি তিনি তার বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বলে জানান অন্যান্য শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক সেলিনা বলেন, এর আগে প্রধান শিক্ষক বিস্কুট চুরি করে বাসা নিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসী সেটা আটক করে। এজন্য তিনি আমাদের খুবই গালাগালি করেন। গতকাল প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসতে দেরি হলে এবিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ওই অবিভাবককে পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারধর করেন। তিনি সকল সময় নিজেকে সরকার দলীয় নেতার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে থাকেন, কোন অভিভাবককে তিনি দাম দেন না।
বাবু নামে অপর এক অভিভাবক বলেন, তিন বছরের বরাদ্ধের কোন হিসাব দিতে পারেনা প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের ফ্যান খুলে নিয়ে গেছে দুই বছর হলো মেরামত অবস্থায় আছে। বাথরুমের সমস্যার কথা ওনাকে বলা হলে তিনি পিয়নকে দোষারোপ করেন। পিয়নের কাছে চাবি নাই। সহকারী শিক্ষকরা তাকে বলেছিলো পানি খাব ম্যাডাম টিউবওয়েলটা ঠিক করে দেন, তিনি তখন বলেন প্রসাব করে পানি খান, বাড়ি থেকে পানি এনে খেতে পারেননা। এছাড়াও ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন শেষ নেই বলে জানান ঐ অবিভাবক।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার ছবি সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন। কয়েকদিন আগেই স্কুল খুললো এর মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ এলাকার লোকগুলো খারাপ তারাই এসব করে আমার উপর দোষ চাপাচ্ছে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বেলাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলের অবস্থা খুবই খারাপ। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়াও চেষ্টা করছি দ্রুত সব কিছুই ঠিক করার জন্য।