চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হাটমুড়া গ্রামে নতুন মসজিদ ও রাস্তা নির্মানকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে সালিশী বৈঠকে হামলায় ৫জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাটমুড়া মোড় এলাকায় এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হচ্ছে, হাটমুড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেব পাটওয়ারীর ছেলে মো. আলামিন পাটওয়ারী, মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন প্রধান ও ছাদেক মিয়া মাষ্টারের ছেলে মাসুদ রানা। আহতদের মধ্যে আলামিন পাটোয়ারীর অবস্থা খুবই আশংকাজনক।
তিনি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহতরা বর্তমানে পাশ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার (গৌরিপুর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমান হাটমুড়া গ্রামের অধিবাসী ছাদেক মাষ্টারের পৈর্তৃক নিবাস একই উপজেলার ফতেবাপুর গ্রামে। তিনি বেশ কয়েকব বছর পূর্বে হাটমুড়া এলাকায় জমি ক্রয় করে বাড়ী নির্মান করে সামাজিক ভাবে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছেন। গত কিছুদিন পূর্বে ছাদেক মাষ্টারের উদ্যোগে সাচার-গৌরিপুর সড়কের হাটমুড়া এলাকায় পুরাতন সড়কের পাশে একটি মসজিদ নির্মান ও পাশাপাশি রাস্তা নির্মান করা হয়। এতে কিছু লোকজন বাকা চোখে বিষয়টি দেখে আসছেন।
অপর দিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি গরু ভাগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ছাদেক মাষ্টারকে একটি পক্ষ বাধা দেয়। এ নিয়ে গত রবিবার বিকালে একটি শালীশি বৈঠক বসে। সালীশিতে উপস্থিত ছিলেন,পাথৈর ইউপি চেয়ারম্যান মো আক্কাস আলী মোল্লা, এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, হোসেন তালুকদারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয়রা জানান,বৈঠক চলাকালীন শেষ পর্যায়ে হাটমুড়া গ্রামের আলমাছ মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেনের ইন্দনে একই গ্রামের আলমাছ মিয়া,সফিউল্যাহ,ফজলুল হক,সাকাল,সজিব ও সাজ্জাদ হোসেন উত্তেজিত হয়ে আলামিন,মোজাম্মেল ও মাসুদ রানার উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে পাশ^বর্তী দাউদকান্দি উপজেলার (গৌরিপুর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানান, ছাদেক মাষ্টার একজন সামাজিক মানুষ। তিনি এলাকায়ু মসজিদ ও রাস্তা নির্মানে আন্তরিক ভাবে কাজ করায় একটি মহল তার পিছু লাগে এবং ঈদে তাকে সম্মানহানি করতে কোরবানি দেয়ায় বাধা দেয়। বিষয়টি খুবই দু:খজনক । এদিকে হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।