কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউপি এলাকার শাহদৌলতপুর (ঘোষনগর সংলগ্ন) মাধাইয়াবাড়ি এলাকায় শুক্রবার ভোর রাত আনুমানিক ৩টায় বাড়িঘরের লোকজন কে বেঁধে ও জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদের একটি দল বাড়ির মালিক, শিশু ও নারীদের জিম্মি করে নগদ প্রায় আড়াই লক্ষাধীক টাকা ও প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী সাবেক চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মৈশান ও তার স্ত্রী এবং বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান, রাত আনুমানিক ২টার পর হিজাব ও মুখোশ পরিহিত ৪জন সহ ৭জন ডাকাত বিল্ডিং এর দরজার লক ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাতদের প্রায় সকলেই তরুণ বয়সী। ঘরে ঢুকেই কয়েকজন তাকে ধরে পড়েনের গেঞ্জি ছিড়ে হাত মুখ বেঁধে পরে ওড়না দিয়ে স্ত্রীর হাত ও মুখও বেঁধে মারধর করে আলমিরার চাবি খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে আলমিরার তালা ভেঙ্গে ড্রয়ার ও গোপন পকেটা থাকা নগদ ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ৪টি স্বর্ণের চেইন, ২জোড়া কানের দুল ও ১জোড়া হাতের বালা বের করে নেয়। এরপরে একটি কক্ষে ঢুকয়ে তাদের মারধর করে আরো টাকা ও স্বর্ণের সন্ধান জানতে চায়।
একপর্যায়ে তার স্ত্রী কে দিয়ে ভাড়াটিয়াকে ডাকিয়ে ঘরের দরজা খুলিয়ে ভাড়াটিয়া ও তার স্ত্রী কে মারধর করে তাদেরকেও বেঁধে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ প্রায় দের লক্ষ টাকা ও দুই জোড়া কানের দুল, চেইন লুটে নেয়। পরে সকলকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে বঁধে রেখে বাইরে দিয়ে দরজা লক করে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে সকলের মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে যায় ডাকাতদল। মুখ ও হাতের বাঁধন খুলে আনুমানিক সারে ৩টায় চিৎকার চেচামেচি করে আশেপাশের বাড়ির লোকজন কে জাগিয়ে তোলে।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম মৈশানের স্ত্রী জানান, ডাকাতদের মাঝে একজন পুরুষ হলেও নারীদের হিজাব পরিহিত ছিলো। বাকি কয়েকজনের মুখ খোলা থাকলেও তাদের কাউকেই চিনতে পারেননি। তবে ডাকাত দলের সকলেই তরুণ ও যুবক আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী হবে বলেও জানান। ঘরের ভেতরে ৭জন প্রবেশ করে বাহিরে আরো কতজন ছিলো সে বিষয়ে সঠিক বলতে পারেন না তারা। এসময় প্রায় সকলের ওপর শারিরীক নির্যাতন চালায় বলেও জানায় ভুক্তভোগীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ ও সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিট টিম।
বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের আইসি ইন্সপেক্টর জাবেদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই তাৎক্ষনিক দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তদন্ত চলমান রয়েছে, জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ। ভুক্তোভোগীরা এখনো লিখত কোন অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি।