সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তক্ষক চক্রের মূলহোতা ল্যাংড়া বাবুলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলো,তাহিরপুর উপজেলার ১ নং শ্রীপুর(উত্তর) ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের মৃত সফি মেস্তরীর ছেলে তক্ষক চক্রের মূলহোতা বাবুল মিয়া ওরফে ল্যাংড়া বাবুল (৪২),তার সহোদর জামাল উদ্দিন (৩৯),টেকেরঘাট বিসিআইসি কলোনীর মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৪) ও পার্শবর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (২৮)। আদালতের মাধ্যমে আজ তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,রবিবার সন্ধ্যায় তাহিরপুর সীমান্ত এলাকার ট্যাকেরঘাট গ্রামের রফিকুলের বাড়িতে তক্ষক বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মোঃ জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থলে যান।পরে এখান থেকে রফিকুল ইসলাম,বাবুল মিয়া, তার সহোদর জামাল মিয়া ও জয়নাল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয় আটককৃতরা তক্ষক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে।এছাড়াও বাবুল ওরফে ল্যাংড়া বাবুল সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাচালানীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন লোকজনকে চোরাচালানের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ তরফদার ৪জনকে আদালতে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন,সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।আটক ৪জন তক্ষক ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহজনক ভাবে প্রমানিত হয়েছে।তবে তক্ষক উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ যাওয়ার পূর্বে এই চক্ররা তক্ষক অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।এছাড়াও এই চক্রের বিরুদ্ধে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে তারা বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে তক্ষকের ভিডিও প্রদর্শন করে তক্ষক বিক্রি করে কোটিপতি হওয়ার লোভ দেখিয়ে একাধিকবার প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।